Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিরলে শ্মশ্মান-কবরস্থান নিয়ে হিন্দু-মুসলিমের মাঝে দ্বন্দ্ব

উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে দ্বন্দ্ব নিরসন

বিরল (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২১, ৬:৪২ পিএম

বিরলে শ্মশ্মান-কবরস্থান নিয়ে হিন্দু-মুসলিমের দ্বন্দ্বে লাশ দাফনে বাঁধা প্রদানের পর স্থানীয় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে দ্বন্দ্ব নিরসন করা হয়েছে। দ্বন্দ্ব নিরসনের পর লাশ অন্যত্র দাফনের সিদ্ধান্ত হলে স্থানীয় মুসলিম জনসাধারণ জানাযা শেষে অন্যত্র লাশ দাফন করেছে।

উপজেলার ৮নং ধর্মপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর মৌজার ডাকুয়া শ্মশ্মানের জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ হিন্দু-মুসলিম বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের লোকমান আলীর স্ত্রী মহছেনা বেগম (৭০) গত সোমবার রাত আনুমানিক ৩ টার সময় মৃত্যু বরণ করলে শ্মশ্মান-কবরস্থান নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে বিরোধীয় স্থানে লাশ দাফনে বাঁধা প্রদান করে হিন্দু জনসাধারণ। এ নিয়ে উভয় পক্ষে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে এবং যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটার উপক্রম হয়।

সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আব্দুল ওয়াজেদ, দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রমা কান্ত রায়, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিভূতি ভূষণ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১০ নং রানীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আজম, ধর্মপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র সরকার, থানা পুলিশ ও ডুংডুংগি বিওপি’র বিজিবিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে উভয়পক্ষের সাথে আলোচনান্তে দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান করেন।

স্থানীয় মুসলিম জনসাধারণ জানান, দক্ষিণ গোবিন্দপুর মৌজার ডাকুয়া শ্মশ্মানের জায়গার এক কোনে পূর্বপুরুষ স্থানীয় মুসলমানরা দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। হিন্দু সম্প্রদায় জায়গাটি শ্মশ্মানের নামে কাগজপত্রে রেকর্ড থাকায় এখন তাঁরা কবরস্থানের জায়গায় পুনরায় করবস্থান হিসেবে ব্যবহারের নিষেধ করে আসছিল। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু-মুসলিমদের মাঝে চরম দ্বন্দ্ব বিরাজ করছিল। উত্তেজনাকনর পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষের সাথে আলোচনা করে ঘটনাস্থলে মৃত লোকমানের স্ত্রীকে অন্যত্র দাফন এবং আগামীতে বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থায়নে ঐ এলাকায় ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করে মুসলিমদের কবরস্থান নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শ্মশ্মান সংলগ্ন মুসলিমদের সেই বাপ-দাদার কবরস্থানটিকে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জানালে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান হয়।

দুপুরে জানাযা শেষে মহছেনা’র লাশ অন্যত্র দাফন করেন তাঁর পরিবারের সদস্যগণসহ আত্মীয়-স্বজন ও সর্বস্তরের মুসল্লিবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দিনাজপুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ