পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সোমবার (২৩ মে) সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে লিচু’র বাজারের উদ্বোধন করা হয়েছে। যদিও গত ১৫ দিন আগেই বাগান থেকে লিচু বিক্রি হচ্ছে। অপরিপক্ক এসব লিচু সুস্বাদু না হলেও একটু কম দামে মধুমাসের রসালো ফল হিসাবে সেসব লিচু বিক্রি হচ্ছে। তবে দিনাজপুরের বিখ্যাত বেদেনা ও চায়না থ্রি লিচু পেতে আরো ১০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু রসালো পিপাসুদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে এবার ভাল মানের অর্থাৎ বেদেনা ও চায়না থ্রি লিচু অনেকটা দুষ্প্রাপ্প হবে। কারন এই দুটি জাতের লিচু’র ফলন নেই বললেও চলে। যতটুকু আছে তাও আকারে অনেক ছোট। আবার দামেও অনেক চড়া। ফড়েয়াদের ভাষায় এবার টাকা দিয়েও বেদেনা ও চায়না থ্রি লিচু পাওয়া মুশকিল হবে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে এবার দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় ৫ হাজার ৪৮১ হেক্টর জমিতে লিচুতে লিচু উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। জেলায় এবার ৩০ হাজার মেট্রিক টন এর বেশী লিচু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অজ্ঞাত কারনে এবার বেদেনা ও চায়না থ্রি লিচুর ফলন অর্ধেকও হবে না। । কিন্তু কি কারনে এবার বেদেনা ও চায়না থ্রি লিচুর ফলন বিপর্যয় হয়েছে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে পারেনি। তবে কৃষকদের মতে বেদেনা ও চায়না থ্রি’র এবার অফ-ইয়ার। অফ ইয়ার বলতে গত দু-তিন বছর যে গাছে ভাল ফলন হয় সে সব গাছে এবার মুকুলই আসেনি। অর্থাৎ সেসব গাছে ফলন হয়নি। আর মাঝে তীব্র খরার কারনে মুকুর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই বেদেনা ও চায়না থ্রি লিচু’র ফলন এবার গতবারের তুলনায় অর্ধেকের কম হওয়ার সম্ভাবনা নিশ্চিত হয়ে গেছ। অন্যদিকে মাদ্রাজি, বোম্বে, হরিয়ানাসহ আরো কয়েকটি জাতের লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব লিচুর সংকট হবে না। বাজার উদ্বোধন হলেও পরিপক্ক লিচু এখনও বাজারে না আসায় কুরিয়রগুলি এখনো অলস বসে রয়েছে। তবে সরাসরি বাগান থেকে মাদ্রাজী ও অপরিপক্ক দানা ছোট বেদেনা ও চায়না থ্রি লিচু ট্রাকে করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে শুরু করেছে।
এদিকে ভিআইপি খ্যাত বেদেনা ও চায়না থ্রি লিচুর ফলন কম হওয়ায় ব্যাপারি থেকে কুরিয়র সকলের মাথায় হাত পড়েছে। কেননা এই দুই জাতের লিচুতেই তাদের মূল ব্যবসা হয়ে থাকে। তাদের মতে বেদেনা ও চায়না থ্রি লিচু সকলেই খায় না বা খেতে পারেনা। এই দুই জাতের লিচু কেবলমাত্র বিত্তশালী ও স্বজন, উপরমহলসহ নিকট আত্বীয়দের পাঠানো হয়ে থাকে। তাই এসব লিচুর দামও ভাল পাওয়া যায়। কিন্তু এবার সেই আশায় গুড়েবালি।
প্রতিদিনই ট্রাকে করে লিচু যাচ্ছে ঢাকা, চট্রগ্রাম, ফেনিসহ বিভিন্ন জেলায়। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বেদেনা ও চায়না থ্রি লিচু বাজারজাত হলে কুরিয়র, দূরপাল্লার কোচে হাজার হাজার ঝুড়ি লিচু যাবে কাংখিত স্বজন বন্ধুদের কাছে। তবে এবার ভিআইপি খ্যাত বেদেনা ও চায়না থ্রি লিচু সকলের মুখে না উঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।