পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ইংরেজি atheist শব্দটি ফরাসি শব্দ থেকে উৎপত্তি। শব্দটি ঈশ্বরবিহীন অর্থে ব্যবহৃত হয় সর্বপ্রথম ১৫৭৭ সালে। শুরুর দিকে শব্দটি একটি অপমানজনক শব্দ হিসেবে পরিচিত ছিল। তাই যে কেউই নিজেকে নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করত। এখনও অনেকে বিশ্বাসগতভাবে ধর্মে ও স্রষ্টাতে অবিশ্বাসী হলেও সমাজে ধর্মীয় প্রভাবের কারণে নিজদের নাস্তিক বলতে সাহস করে না। নিজেকে নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দেয়ার সূত্রপাত হয় সর্বপ্রথম অষ্টাদশ শতকে ইউরোপ থেকে। (উইকিপিডিয়া)। আধুনিক মতবাদগুলো গোটা বিশ্বকে দাপটের সাথে পরিচালনা করলেও সমাজজীবন থেকে ধর্মীয় প্রভাব দূর করা যায়নি। গণতন্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও পুঁজিবাদী অনেক রাজনীতিক আছেন যারা ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে ধর্মের পরম নির্দেশ মান্য করে থাকেন। আধুনিক মতবাদগুলো মানুষের সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে যতটা প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে, সমাজ ও রাজনৈতিক জীবনে তার চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস ও চেতনা। আর এ প্রভাব মানুষকে আত্মিকভাবে করেছে উজ্জীবিত, পরিশীলিত, সংস্কৃত, ভদ্র ও মার্জিত। ধর্মের বিধান মতে, সোলাইমান (আ.) এ বিশাল পৃথিবী পরিচালনা করেছিলেন। অন্যান্য ধর্ম প্রবর্র্তকগণও তাদের ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ এবং নিজের সামগ্রিকজীবন স্ব স্ব ধর্মের আচার, বিধান ও নিয়মের অধীনেই পরিচালনা করেছেন। আর এটা করতে গিয়ে তারা জাগতিক সকল সুযোগ-সুবিধা বিসর্জন দিয়েছেন। জীবনের সকল মায়া ত্যাগ করেছেন। সুখ-শান্তি ও ঐশ্বর্য জলাঞ্জলি দিয়ে পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাদের নিক্ষিপ্ত হতে হয়েছে কারাগারে। বাড়িত্যাগ, দেশত্যাগ এমনকি শেষ পর্যন্ত প্রাণটাও ত্যাগ করতে হয়েছে। এতদসত্ত্বেও তারা তাদের ধর্ম প্রচার এবং মানবসমাজে তা প্রতিষ্ঠার অনন্ত সাধনা অব্যাহত রেখেছিলেন। ধর্মপ্রবর্র্তকদের আগমনের এ ধারা সমাপ্তি ঘটেছে মহানবী (সা.) এর আগমনের মাধ্যমে। তিনি মাত্র ২৩ বছরের ব্যবধানে তাঁর প্রচারিত ধর্মের মাধ্যমে গোটা আরব রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার রাষ্ট্রের একমাত্র সংবিধান ছিল আল কোরআন। আল-হাদীস ছিল রাষ্ট্র পরিচালনার গঠনতন্ত্র। মসজিদে নববী ছিল সংসদ সচিবালয়। তাঁর মৃত্যুর পর খোলাফায়ে রাশেদীন ৩০ বছর যাবত নির্ভুল ধর্মতাত্ত্বিক রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন এই কোরআন ও হাদিস দিয়েই। তৎপরবর্তী উমাইয়া ও আব্বাসীয় যুগে একই ধারায় ঐ কোরআন ও হাদিস দিয়েই ধর্মীয়ভাবধারার আলোকে ব্যক্তি, সমাজ, পরিবার, শিক্ষা-সংস্কৃতি, সাহিত্য রচনা এবং রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে। একথা মিথ্যা নয় যে, খোলাফায়ে রাশেদীন এবং পরবর্তী মুসলিম শাসনামলে অনেক ফিতনা-ফাসাদ, হাঙ্গামা, যুদ্ধ ইত্যাদি সংঘটিত হয়েছিল। এক মুসলিমের হাতে অন্য মুসলিমের শাহাদাতের মতো ঘটনাও ঘটেছিল অনেকবার। কিন্তÍু সেখানে ধর্মের কোনো দোষ ছিল না। দোষ ছিল না আল্লাহর নাযিলকৃত ইসলামের। অবশ্যই যেকোনো মুসলিম ব্যক্তি ও মুসলিম শাসকের দোষ থাকতে পারে। প্রবৃত্তিতাড়িত হয়ে ভুল করতে পারে যে কোনো মুসলিম নেতা। সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও ভুল হয়ে যেতে পারে যেকোনো ধর্মীয় নেতার। তেমনটিই ঘটেছিল বিভিন্ন মুসলিম শাসনামলে। তাই ধর্মকে আর ধার্মিককে এক করে দেখলে চলবে না। তবে এটাও সত্য যে, বর্তমানের গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদগুলোতে রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে যুদ্ধ ও রক্তপাত কম ঘটেনি। ১৯১৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ৪০ কোটি মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল। এ যুদ্ধের সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক ছিল না। এ যুদ্ধে নিহত মানুষের সংখ্যা ছিল এক কোটির উপরে। ১৯৩৯ সালে সংঘটিত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আর এ যুদ্ধে নিহত মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ৮ কোটি। এছাড়া গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে ২০০৩ সালে আমেরিকার ইরাক আক্রমণ বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষভাবে অবলোকন করেছে। ২০০৩ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধ এখনো চলমান। চলমান এ যুদ্ধের শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় নিহত হয়েছে এক কোটি নির্দোষ নিরীহ শিশু-কিশোর, যুবক এবং বৃদ্ধ বনি আদম। আর এ আলোচনার বাইরের যুদ্ধগুলোতো আছেই।
মূলত আদম (আ.) থেকে শুরু হওয়া ধর্ম তার মৌলিকত্ব ঠিক রেখে সময় এবং যুগের চাহিদা মতো বিভিন্ন সময়ে ও কালে আল্লাহতা‘আলা নতুন ধর্ম ও তার প্রবর্র্তক প্রেরণ করেছেন। আর মুহাম্মদ (সা.) সেই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ প্রবর্তক। তাঁর আগমনের মাধ্যমে ধর্ম আগমনের ধারার সমাপ্তি ঘটেছে। ৬৩২ সালে মহানবীর (সা.) মৃত্যুর পর আর কোন নবী আসেননি এবং আসবেনও না। এ ধর্মই সর্বকালীন, সার্বজনীন এবং সামগ্রিক আধুনিকতার পরিপূরক একটি আদর্শ। তার অন্তর্ধানের আজ ১৩৮৯ বছর পরেও মধ্যপ্রাচ্যসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কোরআনের বাণীর নির্দেশ অনুযায়ী তাদের পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, আন্তর্জাতিক ও রাষ্ট্রীয়জীবন পরিচালিত হচ্ছে। প্রচলিত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের তুলনায় সেসকল ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণশৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা, উন্নতি, অগ্রগতি বেশি কার্যকর বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তারা গণতন্ত্রী, সমাজতন্ত্রী ও অন্যান্যদের মত বিশ্বদরবারে যুদ্ধবাজ ও দাঙ্গাবাজ হিসেবে পরিচিত নয়। পৃথিবীর মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ২.৩% মানুষ আছে যারা ধর্মকে অস্বীকার করেন। তারা ধর্মহীন বিভিন্ন মতাদর্শ দ্বারা তাদের ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয়কর্মকান্ড পরিচালনা করতে চান। গবেষণা করলে দেখা যায়, ধর্ম থেকে রাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করার যে মানসিকতা সেটা এই ক্ষুদ্র সংখ্যক নাস্তিকদের আধুনিক মুক্তমনা দর্শন চর্চার ফল। অথচ, দর্শনের ইতিহাস চর্চা করলে দেখা যাবে যে, দর্শনের সাথে ধর্মের কোনো বিরোধ কখনোই ছিল না। ষষ্ঠ শতাব্দীতে ব্যাপকভাবে দর্শনের চর্চা শুরু হয়। আর দর্শন চর্চার প্রাণপুরুষ ছিলেন সক্রেটিস, প্লেটো এবং এরিস্ট্যাটল। তারা সকলেই একেশ্বরবাদী ছিলেন। তারা কখনও ধর্মের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন না, নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টিও করতেন না। তারা কখনও ধর্মের নেতিবাচক ব্যাখ্যা প্রদান করেননি। তাদের জীবনী পাঠ করলে দেখা যায়, সামগ্রিক জীবনে তারা ধর্ম পালনের যৌক্তিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সক্রেটিসের ছাত্র প্লেটো, প্লেটোর ছাত্র ছিলেন এরিস্ট্যাটল আর এরিস্ট্যাটলের ছাত্র ছিলেন আলেকজান্ডার। দিগ¦জয়ী আলেকজান্ডার বহুঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী হলেও ধর্মের প্রতি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। তার সময়ে রাষ্ট্র চলেছে স্বাধীনভাবে আর ধর্মও চলেছিল তার নিজস্ব গতিতে। এটা নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা ছিল না। ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিরোধ নিয়ে যত তর্ক-বিতর্ক সেটা নাস্তিক্যবাদী ধ্যান-ধারণা এবং তাদের মুক্তচিন্তাকে কেন্দ্র করে। এ চিন্তার মূল লক্ষ্য হলো ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা। পৃথিবীতে দর্শনের সূচনালগ্নে ধর্মের সাথে তার কোনো বিরোধ ছিল না। দর্শন চর্চার নিমিত্তে ষষ্ঠ শতাব্দীতে গ্রিকরা অসংখ্য স্কুল তৈরি করেছিল। সেসব স্কুলে দর্শনের অনুশীলন হতো। আর এ অনুশীলন হতো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দর্শন চর্চা ছিল স্বাধীনতার অধিকার। সেখানে ধর্ম কোনো প্রতিতবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি এবং ধর্ম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাও ওই প্রতিতষ্ঠানগুলো থেকে তখন তৈরি হয়নি। একদিকে ধর্মচর্চা আর অন্যদিকে মুক্তমনের দর্শন চর্চার কাজ ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু এই উন্মুক্ত দর্শন চর্চায় এবং মুক্ত মনের মত প্রকাশে বাঁধ সাধলেন তৎকালীন বাইজান্টাইন (রোমান) সম্রাট জাস্টিনিয়ান। জাস্টিনিয়ান ৫২৯ সালে সকল গ্রিক স্কুল ভেঙে দেন। এতে মানুষের মুক্ত মনের ভাবনার পথ রুদ্ধ ও শৃঙ্খলিত হয়। তার কারণেই ধর্ম ও মুক্তমনের চিন্তার সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। মানুষের ভাবনা ও চিন্তার সাথে ধর্মের মধ্যে সংঘাতের জন্ম নেয়। জাস্টিনিয়ান নিজের ক্ষমতাকে দীর্ঘ এবং পোক্ত করতেই এধরনের হটকারী সিদ্ধান্ত নেন। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে চলে জাস্টিনিয়ানের ঘৃণ্য শাসন। শোষিত জনগণ জাস্টিনিয়ানের জুলুম এবং শোষণে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। কিন্তু তাদের কিছুই করার ছিল না। তারা ধরেই নিয়েছিল যে, জনপ্রতিনিধিরা সাধারণত ধর্মহীন ও অত্যাচারী হয়ে থাকে।
ধার্মিকদের দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিতে জনগণের সমর্থন না থাকলেও সাধারণ জনগণ তাদেরকেই সাধারণত সৎ মনে করে থাকে। কারণ রাষ্ট্রপরিচালনায় এমন কিছু নীতির প্রয়োজন হয় যার উপর ভিত্তি করেই সমাজে কোন রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। আর জনগণ সেই নীতিকে কোনো ধরনের যুক্তি ছাড়া অকপটে বিশ্বাস এবং স্বীকার করে নিয়ে থাকে। তার মধ্যে ধর্মই হলো প্রধান। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত ধর্মকে লালন এবং পালনের জন্য রাজনীতি করে থাকে। অপরপক্ষে গণতন্ত্রী, সমাজতন্ত্রী, ধর্মনিরপেক্ষ ও পুঁজিবাদীরা জনসমর্থন পেতে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার করে থাকেন। (অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম ফজলুল হক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)। ক্ষুব্ধ জনতার ক্ষোভ প্রশোমনে জাস্টিসিয়নও ধার্মিক সাজতে তখন চার্চের শরণাপন্ন হন। ক্ষমতার জোরে ধর্মীয় নেতাদেরকে ব্যবহার করতে শুরু করেন। রাষ্ট্রনেতা এবং ধর্মনেতা এ দুইয়ের যোগসাজশে শুরু হয় ইচ্ছামত রীতি এবং বিধান তৈরির ফর্মুলা। ক্ষমতাধর জাস্টিনিয়ান জোর প্রতাপের সাথে উত্তর আফ্রিকা, সিসিলি এবং ইতালির একটি অংশের শাসনকার্য পরিচালনা করেন। তার রাজত্বকাল ছিলো ৫২৭ সাল থেকে ৫৬৫ সাল পর্যন্ত। জাস্টিনিয়ানের ধারাবাহিকতায় চলতে থাকা এই রাজত্বে ধর্মযাজকরা চতুরতার সাথে তাদের বানানো আইনের অনৈতিক ব্যবহার জনগণের উপর চাপাতে থাকে। স্বৈরতান্ত্রিক সরকার আর ধর্মযাজকদের ধর্মব্যবসা একই ধারায় প্রবাহিত হতে থাকে। কালের বিবর্তনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতি এবং গোষ্ঠী রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে ধর্মযাজকদেরকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয়ক্ষমতাকে দীর্ঘ করার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে থাকে, যার সফল বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসকবৃন্দ। ইংরেজ শাসকবৃন্দ ধর্মযাজকদের দিয়ে মিথ্যা বিশ্বাস, মিথ্যা দর্শন ও রীতি তৈরি করে তা ধর্মের বিধান বলে জনগণের উপরে চাপিয়ে দেন। ধর্মীয় এসব নেতা ইচ্ছেমত যখন তখন যেকোনো রীতিনীতি রচনা করে জনগণকে ধোকায় ফেলতে শুরু করে। ধর্মীয় এ মিথ্যা বিশ্বাস ও নীতির মাধ্যমে জনগণকে শিকল বন্দি করার অপপ্রয়াস শুরু হয়। পরবর্তীতে সুযোগ-সন্ধানী মুসলিমশাসকবৃন্দ ধর্মযাজকদের ইতিহাসের গতিধারায় একই কাজ শুরু করে। মুসলিম শাসকগণও ইংরেজ শাসকদের মতো তাদের খেয়ালখুশিমতো আইন ও রীতিনীতি প্রবর্র্তনপূর্বক ধর্মীয়রীতি বলে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। শুদ্ধচিন্তার মানুষেরা এটা মেনে নিতে পারেনি। ধর্মযাজকদের কর্তৃক প্রণীত মিথ্যা রীতিনীতি তারা প্রত্যাখ্যান করে। পাদ্রী এবং চার্চের প্রতি তাদের ঘৃণা জন্ম নেয়। এভাবে রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের দ্বন্দ্ব এবং সংঘাত শুরু হয়। আর সেই সংঘর্ষ জিইয়ে রাখতে ইন্ধন যোগান দেন বিশ্বব্যাপী অতিক্ষুদ্র সংখ্যক নাস্তিকগণ।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।