Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডব্লিউএইচও’র নয়া পরিকল্পনায় ১১০০ কোটি টিকার প্রয়োজন

টিকা-প্রতিরোধি ভ্যারিয়েন্টের আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

খুব শিগগিরই নতুন টিকা প্রতিরোধী একটি করোনা ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের কর্ণধার আন্তোনিও গুতেরেস ডব্লিউএইচও’র এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, আফ্রিকার মতো জায়গায়, যা নতুন করোনা ভ্যারিন্টের আবির্ভাবের ঝুঁকিতে রয়েছে যা মহামারীটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বৈশ্বিক প্রচেষ্টাগুলোকে ব্যর্থ করে দিতে পারে, সেখানে টিকা সরবরাহের দিকে মনোনিবেশ না করে যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য উন্নত দেশগুলো আহাম্মকি করছে।

গুতেরেস বলেন, ‘যদি আমরা বিশ্বের দক্ষিণে ভাইরাসটিকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে দিতে দেই, আমরা জানি যে ভ্যারিয়ান্টগুলোর আবির্ভাব ঘটবে এবং আমরা জানি যে, একদিন এমন ঘটার ঝুঁকি রয়েছে এবং সেই দিনটি খুব শিগগিরই হতে পারে, সেখানে আরও একটি ভ্যারিয়ান্ট থাকবে, যা সক্ষম হবে টিকা প্রতিরোধ করতে।’ তিনি বলেন, ‘এবং উন্নত দেশগুলোতে টিকা দেওয়ার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে এবং এসব মানুষ সুরক্ষিত থাকবে না। তাই ভ্যাকসিনের ন্যায়সঙ্গত বিতরণ না করা কেবল অনৈতিক হওয়ার প্রশ্নই নয়, এটি আহাম্মক হওয়ারও প্রশ্ন।’

একারণে, ডব্লিউএইচও ২০২১ সালের মধ্যে বিশে^র প্রতিটি দেশের জনসংখ্যার মোট ৪০ শতাংশকে করোনা টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ডব্লিউএইচও’র ‘স্ট্র্যাটেজি টু এচিভ গ্লোবাল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন’ নামক পরিকল্পনার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি দেশের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি ৭০ শতাংশ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডব্লিউএইচও’র বলেছে যে, তাদের এ নয়া পরিকল্পনাটির জন্য কমপক্ষে ১১ বিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ প্রয়োজন, যা বর্তমান প্রায় ১৫০ কোটি ডোজ বৈশ্বিক মাসিক সরবরাহ হারের দ্বারা পূরণ করা সমম্ভব হতে পারে। এর মধ্যে সমস্ত প্রবীন, স্বাস্থ্যকর্মী এবং উচ্চ মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণদের প্রথমে টিকা দেওয়া, পরে অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের এবং অবশেষে কিশোরদের টিকা দেওয়া জড়িত।

গুতেরেস বলেন, ডব্লিউএইচও’র কৌশলটি ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ, কোভ্যাক্স, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলির সমন্বয়ে গঠিত একটি টাস্কফোর্স দ্বারা বাস্তবায়ন করা উচিত। ভ্যাকসিন সাম্যতা মহামারীর সমাপ্তিকে ত্বরান্বিত করবে। সূত্র : ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ