পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
গত ৫ বছরে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে ২ হাজারের বেশি। এর মধ্যে গত এক বছরে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ৭৪টি। এই গুরুতর অপরাধে ট্রেন যাত্রীরা তো হতাহত হচ্ছেনই, এমনকি ট্রেনের চালক, সহকারী চালকসহ স্টাফরাও আহত হচ্ছেন। পাথর নিক্ষেপে জানালা ভাঙচুরসহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ট্রেনের কোটি কোটি টাকার সম্পদ। অথচ, ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারায় এমন অপরাধের শাস্তির বিধান আছে। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের কথা বলা আছে। আর কোন রেলযাত্রী মারা গেলে ৩০২ ধারায় ফাঁসিরও বিধান আছে। জানা গেছে, সারাদেশের ২০ জেলার ৭০টি স্পটকে পাথর নিক্ষেপের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনের ভিতরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দলের হামলায় দুই জন নিহত এবং একজন আহত হয়েছে। ঢাকা থেকে ট্রেনটি ছেড়ে টঙ্গী আসার পরে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে আহত ৩ জনকে উদ্ধার করে জামালপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এত বড় একটা ঘটনা ঘটলো অথচ, ট্রেনের মধ্যে অন্য লোকজন এবং ট্রেন পুলিশের কেউ ঠেকাতে পারেনি। ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনার সাথে সাথে এখন দেখা যাচ্ছে ট্রেনের মধ্যে সন্ত্রাসী হামলাও হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ তো ট্রেনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। রেলযাত্রীদের এধরনের আতঙ্ক থেকে কোনোভাবে রক্ষা করতে হবে। তাই এই অপরাধ বন্ধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মাজহারুল ইসলাম শামীম
শিক্ষার্থী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।