মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু একদিনের ব্যবধানে কিছুটা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে এ ভাইরাসে পাঁচ হাজার ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৫২ হাজার ৭৭৯ জন। আর নতুন করে সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ১২ হাজার ৯৪১ জন।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় চার হাজার ৬২৫ জনের মৃত্যু হয়। এই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হন তিন লাখ তিন হাজার ১২৭ জন। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান-ভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮ লাখ ২২ হাজার ২৩৬ জনের। আর মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ কোটি ৬১ লাখ ৪১ হাজার ২৭২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১ কোটি ৩১ লাখ ৯৭ হাজার ২৫১ জন।
এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন চার কোটি ৪৬ লাখ ছয় হাজার ৬৫৬ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন সাত লাখ ২১ হাজার ৫৮৬ জন। আর সেরে উঠেছেন তিন কোটি ৩৯ লাখ ৯৬ হাজার ৭০৬ জন।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৩৮ লাখ ৫১ হাজার পাঁচজন। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৪৯ হাজার ২৮৩ জন। আর সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৯৬৬ জন।
তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা দুই কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৬ জন। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ১৮৫ জন মারা গেছেন। আর সেরে উঠেছেন দুই কোটি চার লাখ ৬২ হাজার ৩৪৫ জন।তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫৮ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৫৯১ জন। আর ১৫ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের করোনা পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়।
এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।