গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বৈধ উপায়ে হয়নি ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও এয়ারলাইন্স কোম্পানি সৌদিয়ার কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মির বিয়ে। জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে তামিমা ও রাকিব হাসানের বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি। রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
এদিকে পিবিআইর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর নাসির ও তামিমাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন এ সংক্রান্ত মামলার বাদী ও তামিমার প্রথম স্বামী ব্যবসায়ী মো. রাকিব হাসান। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে রাকিবের পক্ষে এ আবেদন করেন তার আইনজীবী ইশরাত জাহান। আদালত নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘ডিভোর্স পেপার ছাড়াই বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামিমার মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে মোটাদাগে উল্লেখ করা হয়েছে- ডাকযোগে তালাকের যে পত্র পাঠানো হয়েছিল তার রিসিটটি সঠিক নয়। তালাক যথাযথভাবে হয়নি জেনেও বিয়ে করেছিলেন নাসির। এ কারণে তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তালাক হয়নি জানা সত্ত্বেও তালাকের তথ্য প্রচার করায় মানহানির ধারাও রয়েছে নাসির হোসেন, তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তার মা সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাকিবকে তামিমা তালাক দেননি। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন কি হবে তামিমা কি ফিরে যাবে বৈধ স্বামীর ঘরে? নাকি বৈধ তালাক দিয়ে আবার বৈধ বিয়ে করবে, আইন কি বলে?’
আরিনা পারভীন লিখেছেন, ‘এই কথা তো অনেক আগেই তামীমার প্রাক্তন স্বামী বলেছিল, তখন কেউ আমলে নেয় নাই।’
ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী তাদের বিচারে দাবি জানিয়ে জিসান আহমেদ লিখেছেন, ‘আমি মনে করি, ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী তামিমা এবং নাসিরকে বিচারের আওতায় আনা, ওদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, যা থেকে সাধারণ মানুষ শিক্ষা লাভ করতে পারে। একজনের বৈধ স্ত্রীকে আরেকজন ব্যক্তি কোনভাবেই যেন এই ভাবে বিয়ে না করতে পারে। আর সবার কাছে প্রশ্ন, রেখে গেলাম এতদিন উনাদের যা এক ছাদের নিচে হয়েছে, এটা কি অবৈধ ছিল না? এটার বিচার কি হবে না? এটার বিচার যদি না হয়, এই সমাজ এইভাবে একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে? আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন আমীন।’
রকিবুল ইসলামের পরামর্শ, ‘পিবিআইর উচিত হবে, যা হয়েছ তা তো ফিরে পাবে না; ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী তওবা করিয়ে ওদের আবার ইসলামী আইন অনুযায়ী বিবাহ দেওয়া। এছাড়া আর কোন পথ নাই। মাফ করার মালিক আল্লাহ।’
আতিক রহমানের প্রশ্ন, ‘প্রতিবেদন তো আসলো বিচারটা কি হবে? সাজাটা হলেই প্রশাসনকে জাতি সাধুবাদ জানাবে।’
শানি শাদের দাবি, ‘নাসির ও তামিমা যা করলো তার জন্য দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হোক। আর নাসিরকে ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করার জোরদাবি জানাচ্ছি। কারণ ক্রিকেট মানুষের ভালোবাসার জায়গা, এখানে ওর মতো কুৎসিত মনের মানুষ থাকার অধিকার রাখে না।’
ইশরাক জামিল লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ পিবিআইকে ইস্যুবিহীন বাংলাদেশে একটা ম্যারিড কাপলকে নিয়ে নতুন করে টানাহ্যাঁচড়া শুরু করার জন্য। সপ্তাহখানেক এই নিয়ে ভালোই যাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।