Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আড়াই কোটি বছর আগে এ ধরনের ঈগল ছিল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশটিতে প্রায় দুই কোটি ৫০ বছর আগে বসবাস করা একটি ঈগল প্রজাতি খুঁজে পেয়েছেন। এই প্রজাতি সম্পর্কে এতোদিন জানা ছিলো না। এডিলেডের ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ২০১৬ সালে একটি শুষ্ক লেকে এই প্রজাতির ঈগলের বহু হাড়ের টুকরো খুঁজে পায়। নতুন এক জরিপে দেখা গেছে কঙ্কালের অবশেষটি ছিলো আরকেইর‌্যাক্স সিলভেসট্রিসের বা জঙ্গলের প্রাচীন শিকারি পাখির। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস প্রাচীন এই শিকারিটি পাখি, পোসাম এবং কোয়ালা শিকার করে টিকে থাকতো। তারা বলছেন ঈগলটি জঙ্গলে ওড়ায় এবং শিকারে অভ্যস্ত ছিলো। খাটো ও বলিষ্ঠ পাখা, দীর্ঘ পা এবং বিস্তৃত পৃষ্ঠদেশ ছিলো এর। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার শুকনো লবণের মরুভ‚মিতে অবস্থিত প্রতœতাত্তি¡ক কেন্দ্র লেক পিনপায় কঙ্কালের অবশেষগুলো পাওয়া যায়। ওই এলাকাটি জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাজপাখি এবং ঈগলের অবশেষ পাওয়ার ঘটনা বেশ বিরল। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ট্রেভর ওর্দি বলেন, ওই সময়ে খুব অল্প সংখ্যক থাকায় ‘ফসিল ঈগলের একটা হাড় পাওয়াও বিরল।’ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘এই কঙ্কালের সবচেয়ে উৎসাহব্যঞ্জক বিষয়টি হলো এর বয়স।’ ঈগলটি যে সময়ে বেঁচে ছিলো সেই সময়টি ছিলো অলিগোসিন যুগ। সেই সময় স্থানীয় আবহাওয়া ছিলো রেইনফরেস্টের, শুষ্ক মরুভ‚মি নয়। সোমবার হিস্টোরিক্যাল বায়োলজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে গবেষকরা খুঁজে পাওয়া ৬৩টি হাড়কে ‘ব্যতিক্রমী আংশিক কঙ্কাল’ আখ্যা দিয়েছেন। গবেষণাটির এক লেখক এলেন ম্যাথের বলেন আরকেইর‌্যাক্স সিলভেসট্রিস এক অনন্য সৃষ্টি যার কোনও চিহ্ন বর্তমানের বাজপাখি বা ঈগলের নেই। গবেষকরা বলছেন ঈগল প্রজাতিটির পায়ের পাতার বিস্তৃতি ছিলো প্রায় ছয় ইঞ্চি। যা ব্যবহার করে সেগুলো সহজেই মারসুপিয়ালস, হাঁস এবং ফ্লেসিাথো শিকার করতে পারতো। গার্ডিয়ান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈগল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ