বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে করোনা প্রতিষেধক ভেকসিন প্রদানে ক্যাম্পেইন-এর আদলে গনটিকা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সহ স্থানীয় সরকার প্রশাসনের জোড়াল পদক্ষেপ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন। ইতোমধ্যে প্রায় ১ কোটি জনসংখ্যার দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় প্রায় ৩০ লাখ ডোজ ভেকসিন প্রদান সম্ভব হয়েছে। তবে এরমধ্যে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুইডোজ সম্পন্ন কারীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। শুধু প্রথম ডোজ গ্রহন করেছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ। আর গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ভেকসিন-এর ক্যাম্পেইন কার্যক্রমেই দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ৬ লাখ ৩০ হাজার ডোজ করোনা প্রতিষেধক ভেকসিন প্রয়োগ সম্ভব হয়েছে।
এরমধ্যে মহানগরী সহ বরিশাল জেলায়ই প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষকে ভেকসিন প্রদান করা হয়েছে। তবে মহনগরীতে মাত্র ৩ হাজার ৫৩৪ জনকে ভেকসিন প্রদান করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন। এরআগে প্রথম গনটিকা কার্যক্রমের দিনেও দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় আড়াই লাখ ডোজ ভেকসিন প্রয়োগ সম্ভব হয়েছিল।
নদ-নদী নির্ভর দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামেগঞ্জের সাধারন নারী-পুরষের পক্ষে উপজেলা সদরে গিয়ে ভেকসিন গ্রহন অনেকটাই দুরুহ ব্যাপার। এরসাথে বয়োবৃদ্ধ ও শারিরিক প্রতিবন্দী সহ অন্যান্য রোগে দূর্বলদের পক্ষেও দীর্র্ঘপথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে পৌছে ভেকসিন গ্রহনে আগ্রহ থাকছে না। তারপরেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে গত মঙ্গলবার ক্যাম্পেইন-এর দিনেই মোট জনসংখ্যার প্রায় সাড়ে ৬% মানুষের ভেকসিন গ্রহনের বিষয়টিকে যথেষ্ঠ আশাব্যঞ্জক বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন। এমনকি ইতোপূর্বে দক্ষিণাঞ্চলে ভেকসিন গ্রহনকারীর মধ্যে নারীর সংখ্যা ছিল ৩৫%-এরও কম। এখন তা প্রায় সমান পর্যায়ে পৌছেছে।
তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পরার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যাক নারী আক্রান্ত হবার কারণেও ভেকসিন গ্রহনকারী সহ নারীদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসা সংশ্লিষ্টগন। কিন্তু করোনা প্রতিরোধ সহ ভেকসিন প্রয়োগে স্থানীয় সরকার প্রশাসনের যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রয়েছে বলে মনে করে তাদেরকে এলক্ষে আরো বেশী সম্পৃক্ত করার গুরুত্বারোপ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল।
বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ক্যাম্পেইন-এর দিনেও মাত্র সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে ভেকসিন প্রয়োগের বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সহ প্রশাসনের অনেক দায়িত্বশীলও হতাশা ব্যাক্ত করেছেন। তাদের মতে, এ নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ৪০ জন কাউন্সিলর ২শজন করে নারী-পুরুষকে টিকাদান কেন্দ্রে পৌছাতে পারলেও নুন্যতম ৮ হাজার মানুষ ভেকসিন গ্রহনের কথা ছিল। মহানগরীতে এ পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ ১০ হাজারের মত মানুষ দ্বিতীয় ডোজের ভেকসিন সম্পন্ন করেছেন। প্রথম ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা ১ লাখ ৯০ হাজারের কাছে। নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ৪০টি বুথে আগষ্টের ১২ তারিখ থেকে ভেকসিন প্রদান কার্যক্রম চলছে।
তবে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বেশীরভাগ বুথেই ভেকসিন গ্রহনকারীর অপেক্ষায় সময় পার করছেন টিকাদানকারীগন। বরিশাল মহানগরীতে ভেকসিন প্রদানে আরো যোড়াল পদক্ষেপ আশা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীলগন।
তবে সিটি করপোশেনের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ ফয়সাল জানান, ‘ যেসব মানুষ রেজিষ্ট্রেশন করেছেন, তাদের ৮০ভাগেরও বেশী ইতোমধ্যে ভেকসিন গ্রহন করেছেন। উপরন্তু ক্যাম্পেইনের দিনে শুধুমাত্র ২৫ বছরের উর্ধে ভেকসিন প্রয়োগ করায় সংখ্যাটা বাড়েনি। ফলে কেন্দ্রগুলোতে ভেকসিন গ্রহনকারীর অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে আমাদের কর্র্মীদের’। নগরীর আরো বেশী সংখ্যক মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা সহ তাদেরকে সময়মত ভেকসিন গ্রহনে কেন্দ্রে আনার ব্যাপারে কাউন্সিলরদের ভ’মিকা প্রসঙ্গে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগ অবিলম্বে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে পৌর এলাকাগুলোতে স্থানীয় সরকার প্রশাসনকে করোনা ভেকসিন প্রয়োগ সম্পৃক্ত করার তাগিদ দিয়েছে। পাশাপাশি সাধারন মানুষের পক্ষ থেকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি ইউনিয়নে নুন্যতম একটি কেন্দ্রে করেনা ভেকসিন প্রদানের বিষয়টি বিবেচনার দাবী জানান হয়েছে। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও সরকারে সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় দায়িত্বশীল মহল। ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।