মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিস্কারের পর এবার খাওয়ার ওষুধ আসতে চলেছে। আর কয়েক মাস অপেক্ষার পর কোভিডের চিকিৎসায় বাজারে আসতে চলেছে এই ওষুধ। ভাইরাল জ্বরসহ বিভিন্ন উপসর্গের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সাধারণত যে ধরনের ওষুধ খেতে দেন, সে রকমই কোভিডের জন্যও ওষুধ পাওয়া যেতে পারে।
আর কোভিডের জন্য খাওয়ার ওষুধের এমন দাবি করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের একাংশ। কোভিড চিকিৎসার ওষুধের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মেরেক এবং রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকসের মোলনুপিরাভির। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ-এর একটি বিভাগের ডিরেক্টর কার্ল ডাইফেনবাক ওষুধ সম্পর্কে এমনটাই দাবি করছেন।
কার্ল ডাইফেনবাক বলেছেন, ওই ওষুধ নিয়ে ইতোমধ্যেই গবেষণা চলছে। আর টিকাপ্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজারও এই রকম একটি ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। নজরে রয়েছে রসে এবং অ্যাটিয়া ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি ট্যাবলেটও।
ওই বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, পরীক্ষার স্তর অতিক্রম এবং ছাড়পত্র মিললেই বাজারে কোভিডের সেই কাঙ্খিত খাওয়ার ওষুধ চলে আসবে। শরীরে কোভিড ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই ধরনের ওষুধ খাওয়া শুরু করে দেওয়া যেতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, ওষুধ খেলে কোভিডের উপসর্গ বড় আকার নিতে পারবে না। উত্তর ক্যারোলাইনা চ্যাপেল হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট টিমোথি সিয়াহান বলেন, ‘শুধু নিজেকে সুস্থ করে তোলাই নয়, অন্যের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেও এই ওষুধ কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে’।
রেমডেসিভিরের প্রাক-ক্লিনিক্যাল গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সিয়াহান। তিনি জানান, ইঁদুরের শরীরে মোলনুপিরাভির প্রয়োগ করে দেখা গেছে, সার্স-কোভ-২ প্রজাতি রুখে দিচ্ছে ওই ওষুধ। পরে ওই পদ্ধতিতেই ট্যাবলেট তৈরি করা শুরু করেছে মেরেক ও রিজব্যাক। ২০২ জন ব্যক্তির উপর ওই ওষুধ প্রয়োগ করে দেখা গেছে, শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া অনেকটাই কমে যাচ্ছে ওই ওষুধ প্রয়োগের পর।
আর কয়েক দিনের মধ্যেই ওই ওষুধের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট প্রকাশিত হবে। চলতি মাসের শুরুতেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ের গবেষণা শুরু করেছে ফাইজার। দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট শিগগিরই হাতে আসবে বলে জানিয়েছে ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাটিয়াও। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনবিসি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।