Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাসেলের রিমান্ড নামঞ্জুর জিজ্ঞাসাবাদ জেলগেটে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে রাসেলের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত রাসেলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই দিনই মামলাটিতে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাসেলের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আর তার স্ত্রীর রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। ওই মামলায় রিমান্ড শেষে রাসেলকে আজ আবার আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ধানমন্ডি থানায় ২১ সেপ্টেম্বর দায়ের করা আরেক মামলায় রাসেলকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ড নামুঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার মামলায় ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি হওয়ার পর বিকেলেই রাসেলকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।
এদিকে, রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের মুক্তি দাবিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মানববন্ধন করছেন গ্রাহকরা। গতকাল বেলা ১টার দিকে বাংলাদেশ ই-কমার্স মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ মানববন্ধন শুরু করেন তারা।
অপরদিকে, বিভিন্ন নাটক ও অনুষ্ঠানের স্পন্সর ও ব্র্যান্ডিং বাবদ ইভ্যালি থেকে প্রায় ৬০ লাখ টাকা পাবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট ও ক্রাউন ক্রিয়েশন্স। পাওনা এই টাকা আদায়ে এবার আইনের আশ্রয় নিতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠান দু’টি। ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্টের ডেপুটি সিইও মো. তাজুল ইসলাম ও ক্রাউন ক্রিয়েশন্সের সিওও সৈয়দ ইকবাল স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে ইভ্যালির নিয়োজিত বিজ্ঞাপনী এজেন্সি ফ্যাক্টর থ্রি সলিউশনস ও সরাসরি ইভ্যালির কার্যাদেশ অনুযায়ী বিভিন্ন নাটক-অনুষ্ঠানের ইভ্যালি স্পন্সর করে। এর প্রেক্ষিতে নিয়মমাফিক বিল জমা দেওয়ার পর আংশিক টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এরইমাঝে ইভ্যালির কাছে আমাদের প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পাওনা ৬০ লাখ টাকার বেশি দাঁড়িয়েছে; যা পরিশোধের ক্ষেত্রে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ নানা ধরনের টালবাহানার মাধ্যমে কালক্ষেপণ করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এরইমাঝে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল প্রতারণার একাধিক মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। ইভ্যালির পক্ষ থেকে আমাদের এই বিপুল অংকের টাকা পরিশোধের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা নানান ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিচ্ছেন এবং তাদের প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পাওনা টাকা পরিশোধে অপারগতা দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রতিষ্ঠান পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মোহাম্মদ রাসেলসহ ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মরত প্রশাসন, হিসাব ও অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ ইভ্যালির বিজ্ঞাপনী এজেন্সি ফ্যাক্টর থ্রি সলিউশন্সের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমাদের আইনজীবীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাসেল

৩০ এপ্রিল, ২০২২
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ