বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনীর আলোচিত আল-আমিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ডায়মন্ড নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে দিনাজপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডি জানায়, একটি প্রেমের সম্পর্ক থেকেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সিআইডি কার্যালয়ে ঘটনার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ফেনী পৌরসভার পশ্চিম বিজয়সিংহ লুদ্দারপাড় গ্রামে একটি টিনশেড কলোনিতে আল আমিন নামে একজন ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। ঘটনার পর ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি।
তিনি জানান, আল আমিন, তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন (২৭) ও আসামি মো. ডায়মন্ড (২৮) ওই টিনশেড কলোনির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। তারা তিনজনই ফেনী শহর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় হরেক রকমের জিনিসপত্র বিক্রি করতেন (ফেরিওয়ালা)।
তদন্তে সিআইডি জানতে পারে, আসামি ডায়মন্ডের সঙ্গে নিজ গ্রামের কুমারী পপি মন্ডল নামে একটি তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যদিও সম্পর্কটি বেশিদিন টেকেনি। ভুল বুঝাবুঝির কারণে সম্পর্কটি ভেঙে যায়। এর কিছুদিন পর কুমারী পপি মন্ডল বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।
পপির আত্মহত্যার পর একদিন ডায়মন্ড জানতে পারে আল আমিন ইচ্ছা করে সুকৌশলে ডায়মন্ডের ফোন ব্যবহার করে পপি মন্ডলকে বলেছে, ‘ডায়মন্ড তাকে ভালবাসে না।’ যার পরিপ্রেক্ষিতেই পপি আত্মহত্যা করেছে। এছাড়াও ডায়মন্ড আরও জানতে পারে নিহত আল আমিন তার ৩ সহযোগী রুবেল মন্ডল, হাসিবুর রহমান, আবু বক্করকে নিয়ে কিছুদিন আগে পপির ঘরে ঢুকে তাকে যৌন নিপীড়ন করে।
মুক্তা ধর বলেন, ডায়মন্ড এসব ঘটনা জানতে পেরে আল আমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে সে ছুরি নিয়ে আল আমিনের ওপর হামলা করে এবং তার বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আল আমিনকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আল-আমিনের বড় ভাই তোফাজ্জলকেও আসামি ডায়মন্ড ছুরিকাঘাত করে। তাদের চিৎকারে কলোনির অন্যান্য বাসিন্দারা এগিয়ে এলে ডায়মন্ড দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে, সিআইডির এলআইসি শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে। অবশেষে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।