বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর চৌগাছার হাজরাখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও সীমানার চারপাশে অনুমতি ছাড়া চলা ‘বলুহ মেলা’ উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) কাফী বিন কবির ও চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিকেল চারটায় মেলার মাঠ থেকে স্থানীয়রা ফোনে জানান, দোকানিরা পসরা গুছিয়ে নিয়ে চলে গেছেন, কেউ কেউ চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) কাফী বিন কবির বলেন, মেলা আয়োজনের অনুমতি ছিল না। তবুও তারা স্কুলমাঠের আশপাশে মেলা বসিয়েছিলেন। সব দোকানিকে সন্ধ্যার মধ্যে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মাঠে কোনো দোকান থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত শনিবার অনুমতিবিহীন মেলা বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসির কাছে আবেদন করেন বলুহ দেওয়ানের মাজার কমিটির সভাপতি আশাদুল ইসলাম আশা। এরপরও মেলা বন্ধ না করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ইশারায় মাজারের আশপাশ থেকে দোকান তুলে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ও চারপাশে বসানো হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) কাফী বিন কবির ও চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মেলার মাঠে গিয়ে দোকানপাট উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই সময় তাদের সাথে থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান, ডিএসবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিদ্ধার্থ সাহাসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ছিলেন। অভিযানের সময় মেলামাঠে অবস্থিত হাজরাখানা জামে মসজিদের মাইকে মাঠ থেকে সকল দোকান উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা ঘোষণা করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
প্রতি বাংলা সালের ভাদ্রমাসের শেষ মঙ্গলবার উপজেলার হাজরাখানা গ্রামে কপোতাক্ষ নদের তীরে পীর বলুহ দেওয়ানের মাজার ঘিরে বসে এই মেলা। বলুহের মাজার ঘিরে হয় ঔরশ। প্রতি বছরের মতো গ্রামের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান যশোরের জেলা প্রশাসকের কাছে মেলার অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। জেলা প্রশাসন করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ন্যায় এবারো মেলার অনুমতি না দিলেও মৌখিক অনুমতিতে একদিনের (১৪ সেপ্টেম্বর) জন্য পীর বলুহ দেয়ানের ঔরস অনুষ্ঠিত হয়। তবে ঔরস চলে তিনদিন।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর মাজার কমিটির সভাপতির আবেদনের প্রেক্ষিতে মাজার এলাকা থেকে দোকানপাট উঠিয়ে দেওয়া হয়। তবুও তারা সেসব দোকান বিদ্যালয়ের চারপাশে বসায়। আমরা উপস্থিত থেকে তাদের দোকান সরিয়ে নেওয়ার সময় দিয়েছি। সন্ধ্যার মধ্যেই ব্যবসায়ীরা দোকান সরিয়ে নেবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।