পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরীক্ষামূলকভাবে ৫০ জন যাত্রীকে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করে আগামীকাল বুধবার পাঠাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) চিঠি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরিস্থতি সন্তোষজনক হলে বাকিদের নেয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে আরব আমিরাত। এ জন্য বিমানবন্দরে ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক মোবাইল ল্যাব স্থাপন করবে। বেবিচক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমানকে চিঠি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরীক্ষামূলকভাবে ৫০ যাত্রীকে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করে আরব আমিরাতে পাঠানো হবে। সোমবার সকালেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রাথমিকভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করা হবে। বিমানবন্দরে ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিককে মোবাইল ল্যাব রয়েছে, তাই এই প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে। পরে আরব আমিরাতের সিদ্ধান্তের পর বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো ল্যাব বসানোর সুযোগ পাবে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর সাতটি প্রতিষ্ঠানকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর ল্যাব বসাতে অনুমোদন দেয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড ঢাকা, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টি এই সাতটি প্রতিষ্ঠানের নাম প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বেবিচক প্রধান কার্যালয়ে ৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বেবিচক চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে এ সভায় ল্যাব স্থাপনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ৭টি প্রতিষ্ঠানের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) মানসম্মত কিনা তা যাচাই করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী পাঠাতে হবে, তাই শুক্রবার ১২টার মধ্যে এটা জমা দিতে বলা হয়। আরব আমিরাত এসব প্রতিষ্ঠানের আপত্তি না জানালে কাজ দেয়া হবে। কোনও প্রতিষ্ঠানের এসওপি নিয়ে আপত্তি আসলে তাদের কাজ দেয়া হবে না। এরমধ্যে জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল ছাড়া বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের এসওপি জমা দিয়েছিল।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল) ফরিদ হোসেন বলেন, ‘কারা কাজ করবে না করবে, এখন এটা সিভিল এভিয়েশন দেখছে। অধিদফতর শুধু ল্যাব, করোনা পরীক্ষা কার্যক্রমের মানের বিষয়ে মনিটরিং করবে।’
তবে কোন এয়ারলাইন্স এই ৫০ যাত্রী পরিবহন করবে, কোন যাত্রীদের যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। গতকাল সন্ধ্যায় এসব বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে বেবিচক। এছাড়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি দল ল্যাব স্থাপনের কার্যক্রম তদারকি করতে মঙ্গলবার বিমানবন্দরে আসবে। আরব আমিরাতের একটি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা বলেন, ‘পরীক্ষামূলক যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে এখনও আমরাদের কিছুই জানানো হয়নি। বেবিচক জানালে আমরা প্রস্তুতি নেবো।’
থাই দূতাবাসে ভিসার আবেদন শুরু : এদিকে, ঢাকায় অবস্থিত থাইল্যান্ডের দূতাবাস বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসার আবেদন গ্রহণ করতে শুরু করেছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল সোমবার এই কার্যক্রম শুরু হয়। থাইল্যান্ডের নাগরিক নন, এমন সব ক্যাটাগরি এবং সার্টিফিকেট অব এন্ট্রির (সিওই) ক্ষেত্রে ভিসা প্রদান করা হচ্ছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত এক নোটিশে বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে অবশ্যই ভিসার যাবতীয় শর্ত ও বৈধতা পূরণ করতে হবে। বিশেষকরে, যাদেরকে ভিসা দেয়া হবে, তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। যিনি করোনার টিকা নিয়েছেন, তার ক্ষেত্রেও একই শর্ত।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ভিসার ক্ষেত্রে থ্যাইল্যান্ডের সরকার যেসব প্রক্রিয়া ও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, সেসব মেনে চলতে হবে ভিসাগ্রহণকারীকে। এছাড়া ফুকেট স্যান্ডবক্স এবং আশপাশে ভ্রমণের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গৃহীত সকল ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
জাপানে কালোতালিকা মুক্ত বাংলাদেশসহ ৬ দেশ : করোনাভাইরাস মহামারিতে আরোপিত সীমান্ত নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে জাপান। এই নীতির অধীনে বাংলাদেশসহ কালো তালিকাভুক্ত এশিয়ার ছয়টি দেশ থেকে ফেরত যাওয়া সবাইকে স্বাগত জানাবে জাপান। এই অনুমোদন গতকাল সোমবার থেকে চালু হওয়ার কথা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জাপান টাইমস। এতে বলা হয় এই ছয়টি দেশ হলো বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। করোনা মহামারির উচ্চ মাত্রায় সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধে এ বছরে জুনে এসব দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করে জাপান। যারা টিকা নিয়েছেন এবং যাদের জাপানে বৈধ আবাসিক অনুমোদন আছে, তারাসহ বিদেশি নাগরিকদের জাপানে প্রবেশ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়। এই ছয়টি দেশ সফর করেছেন এমন সব বিদেশিদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের শর্ত দেয় জাপান।
কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকার ঘোষণা করেছে যে, তারা জুন মাসে যে নীতি গ্রহণ করেছিল, তা ওই ছয়টি দেশ থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। একে জাপানের কোয়ারেন্টিন পলিসিতে বড় রকমের এক পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। পরিবর্তিত নিয়মে কমপক্ষে ৪০টি দেশ ও অঞ্চল থেকে জাপানে ভ্রমণকারীকে বাধ্যতামূলকভাবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ সময়ে জাপান প্রবেশের পর কোয়ারেন্টিনে থাকার তৃতীয় দিনে তাদের করোনার পরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া পরীক্ষা করা হবে জাপানে পৌঁছার পরও। পরীক্ষায় যাদের নেগেটিভ আসবে তাদেরকে জাপানে বাসাবাড়িতে ফেরার অনুমোদন দেয়া হবে। অথবা চাইলে তারা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে সময় কাটানোর বিষয়ও বেছে নিতে পারেন। এর বাইরে থেকে কোনো ভ্রমণকারী জাপানে প্রবেশ করলে তাকে স্বেচ্ছায় আইসোলশনে থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে সরকার আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। বলা হয়েছে, সেক্ষেত্রে ৬ থেকে ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।