মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
: পশ্চিমবঙ্গের বাজারে ইলিশ নেই। দূষণের কারণে মাছ নেই গঙ্গায়ও। মিয়ানমার থেকে যা একটু আমদানি হয়েছিল, তাতে তৃপ্তি মেটেনি। পদ্মার ইলিশের সঙ্গে কি আর অন্য কিছুর তুলনা চলে? এ প্রশ্নের জবাবে হয়তো আপনি সরাসরি ‘না’ বলে দেবেন, তবে পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা কিন্তু ‘হ্যাঁ’ ও বলতে পারেন। কারণ, তাদের রয়েছে বোরোলি নামে একটি মাছ। হ্যাঁ, শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটিই সত্য! বোরোলি খেয়েই ইলিশের স্বাদ ভুলতে চাচ্ছেন পশ্চিম বাংলার লোকেরা। স¤প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজ তাকের বাংলা সংস্করণে এমনটাই জানানো হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলিশ বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় মাছ, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু, অনেকেই মনে করেন, ইলিশকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে আরও অনেক মাছের। শুধু প্রচারের অভাবেই সেগুলো বিখ্যাত হয়ে উঠতে পারছে না। আজ তাকের দাবি, ইলিশের স্বাদকে চ্যালেঞ্জ জানানো এমনই একটি মাছ বোরোলি, যাকে অনেকেই ‘উত্তরের ইলিশ’ও বলে থাকেন। আকারে ইলিশের সঙ্গে কোনোভাবেই তুলনা চলে না বোরোলির, তবে স্বাদে ঠিকই মানুষকে মোহিত করতে পারে ছোট্ট মাছটি। বলা হয়েছে, উত্তরের অভয়ারণ্য, কাঞ্চনজংঘা, তিস্তার মতোই জনপ্রিয় রুপালি শস্য ‘বোরোলি’। ভালোবেসে কেউ কেউ একে ‘তিস্তার ইলিশ’ বলেও ডাকেন। আকারে খুব বেশি হলে তিন থেকে চার ইঞ্চি, কিন্তু তাতেই স্বাদে মাতোয়ারা বঙ্গবাসী। বোরোলি তিস্তায় বেশি পাওয়া গেলেও তোরষা, করলা, রায়ডাক, বালাসন, কালজানিতেও এর দেখা মেলে। তবে স্বাদের বিচারে নাকি তিস্তার বোরোলিই সেরা। কম যায় না তোরষার মাছও। আজ তাকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উত্তরবঙ্গের নদীগুলোতে বোরোলি ফেরাতে নানা বিকল্প চাষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে মৎস্যপ্রেমীরা সেগুলো খেয়ে বলছেন, এটি অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো ব্যাপার। মাছগুলো বোরোলি বটে, তবে স্বাদে আসলটির ধারেকাছেও নেই। তাই তো প্রশ্নও উঠছে, যেখানে আসল বোরোলির স্বাদই পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে পদ্মার জগৎবিখ্যাত ইলিশের সঙ্গে তার তুলনা চলে কীভাবে? আজতাক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।