পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সমুদ্র সীমানা নির্ধারণের জন্য ভারত যে কোস্টাল বেসলাইন ব্যবহার করেছে তার একটি অংশ বাংলাদেশের সীমানায় পড়েছে। দীর্ঘদিন দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেয় বাংলাদেশ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের মে’তে ভারত তার সমুদ্রসীমা নির্ধারণের যে বেসলাইন ব্যবহার করেছে সেটার প্রতিবাদ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিকে ওই বছরের অক্টোবরে চিঠি দেয়। উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতকে বিষয়টি ঠিক করার অনুরোধও করা হয়। কিন্তু দিল্লি এখনও সেটি ঠিক করেনি । বিষয়টি আরও ঘোলাটে হয় চলতি বছরের এপ্রিলে। যখন বাংলাদেশের নির্ধারিত বেসলাইনের বিরোধিতা করে জাতিসংঘকে চিঠি দেয় ভারত।
জাতিসংঘ মহাসচিবকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশ জানায়, দীর্ঘদিন বাংলাদেশ বিষয়টি জাতিসংঘ ও এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অবহিত করেনি। কিন্তু এখন বাংলাদেশ এর বিরোধিতা করছে এবং ততদিন পর্যন্ত করতে থাকবে যতদিন না ভারত বিষয়টি ঠিক করছে এবং জাতিসংঘকে জানাচ্ছে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলা হয়- ১৯৭৬ সালে ভারত টেরিটোরিয়াল ওয়াটার ও মেরিটাইম জোন সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করে। এর ৩৩ বছর পর ২০০৯ সালে বেসলাইন নির্ধারণের জন্য সংশোধনী আনে ভারত। আগের নিয়মে নি¤œ পানি থেকে বেসলাইন নির্ধারণের বিধান থাকলেও এখন তারা স্ট্রেইটলাইন পদ্ধতি ব্যবহার করছে। যা আনক্লসের ৭ নম্বর ধারার পরিপন্থি।
সমুদ্র তীর থেকে বেসলাইন নির্ধারণের বিধান থাকলেও ভারতের ৮৭ নম্বর বেস পয়েন্টটি তীর থেকে প্রায় ১১ নটিক্যাল মাইল দূরে। অন্যদিকে এর ৮৯ নম্বর বেস পয়েন্টের অবস্থান বাংলাদেশের জলসীমার প্রায় ২ দশমিক ৩ মাইল ভেতরে পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মো. খোরশেদ আলম বলেন, ভারত যেভাবে তাদের বেসলাইন নির্ধারণ করেছে, সেটি আনক্লজের ৭ নম্বর ধারার পরিপন্থি।
এদিকে গত এপ্রিলে বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান নিয়ে বাংলাদেশের দাবির বিরোধিতা করে জাতিসংঘকে চিঠি দেয় ভারত। তাতে বাংলাদেশের দাবি বিবেচনা না করার জন্য জাতিসংঘকে অনুরোধ করে দিল্লি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতের ওই চিঠির জবাবে বাংলাদেশ বলেছে, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক আরবিট্রেশন কোর্টের রায় অনুসরণ করে মহীসোপানের দাবি নির্ধারণ করেছে ঢাকা। জাতিসংঘকে দেওয়া ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালে রায় পাওয়ার পর দুই দেশ সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে এবং গেজেটের মাধ্যমে সীমানা বিন্দু (কোঅর্ডিনেটস) কী হবে সেটা সরকারিভাবে প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমানা নিয়ে বিরোধ আদালত মীমাংসা করেছে। উভয়পক্ষ বিষয়টি মেনে নিয়ে গেজেট প্রকাশ করার পর দুইপক্ষের মধ্যে আর কোনও বিরোধ থাকতে পারে না বলে জানানো হয় চিঠিতে। এ বিষয়ে মো. খোরশেদ আলম বলেন, দুইপক্ষের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিরোধ জাতিসংঘের আদালতে মীমাংসা হয়েছে। এরপর অন্য কোনও দাবি জাতিসংঘের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার যৌক্তিকতা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।