পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিআরবি সুরক্ষার দাবিতে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, সিআরবি চট্টগ্রামবাসী তথা দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এর উপর আঘাত বা কোন রকমের সৌন্দর্য্যহানি মেনে নেয়া যায় না। একমাত্র সিআরবি ছাড়া চট্টগ্রামে মুক্তভাবে শ্বাস নেয়ার মতো প্রাকৃতিক প্রাচুর্যপূর্ণ আর কোন স্থান নেই। এখানে পরিবেশ বিনষ্ট করার অধিকার কারো নেই। তারা অবিলম্বে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। একইসাথে সেখানে এ ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে আইনগত বাধা থাকা পরও কিভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে জমি বরাদ্দ দিয়েছে তার তদন্ত হওয়াও প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে রোববার আয়োজিত এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দেশ-বিদেশ থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। সঞ্চালনায় ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জমির চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, সিআরবির মত জায়গায় প্রাইভেট হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব কি করে আসে আর সেটিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অনুমোদন কিভাবে দিয়েছে তা বোধগম্য নয়। সবকিছুই কেমন যেন রহস্যাবৃত ও অনিয়মের চক্করে ঘটেছে বলে মনে করেন তিনি। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল এবং যে কোন প্রকারেই হোক চট্টগ্রামের পরিবেশ ও সৌন্দর্যের স্বার্থে সিআরবি রক্ষা করতে হবে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডাঃ ইসমাইল খান বলেন, সিআরবিতে একটি নতুন হাসপাতালের কোন যোক্তিকতা নেই। সেখানে মেডিকেল কলেজ নির্মাণের কথা যারা বলছেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় করতে হলে যথাযথ অনুমোদন প্রয়োজন, কিন্তু এ ধরনের অনুমোদনের জন্য কোন আবেদন জমা পড়েনি।
চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রামবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এখন একটি ভিক্ষা চায়, সেটি হচ্ছে সিআরবিকে আপনি রক্ষা করুন। আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য সিআরবি প্রয়োজন। এতে নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য সাবিহা মুছা, চাকসুর সাবেক ভিপি মোজাহেরুল হক শাহ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন, সাবেক কমিশনার জেসমিন আকতার পারুল, আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান, কাতার আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম তালুকদার বাবু, চট্টগ্রাম সমিতি অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন ইফতু, সউদি আরব থেকে ডা. নাহিদা খানম, নারী নেত্রী লাইলা ইব্রাহিম বানু ও কানিজ ফাতেমা লিমা বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।