Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতেই যানজট রাজধানীতে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস। এর মধ্যেই দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরের বিরতি ভেঙে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে খুলে গেছে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা। স্বাভাবিকভাবেই রাজধানীর রাজপথে পরিবহনের উপস্থিতি বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে যানজট। বলা যায়, মহামারিকালের আগের ‘চেনা যানজট’ ফিরে এসেছে ঢাকার রাজপথে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যানজটের চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা রয়েছে সে সব স্পটে যানজট বেশি দেখা গেছে।

গতকাল রোববার সকাল খুলে গেছে সব স্কুল-কলেজ। এদিন সকাল থেকেই বিদ্যালয় বিদ্যালয়ে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। আর সেই সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কগুলোও ছিল ব্যস্ততায় মুখর। রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা শাহাবাগ মোড়ে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহনের উপস্থিতি অনেক বেশি। বাসের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। কিন্তু যানজটের কারণে বাসের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষার প্রহরও দীর্ঘ হয়। একদিকে যানজট, অন্যদিকে তীব্র গরম রীতিমতো ‘ত্রাহি’ অবস্থা।

একই চিত্র দেখা গেছে মতিঝিল, শান্তিনগর, পান্থপথ-গ্রিন রোড, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মিরপুর রোডেও। এসব এলাকার দোকানদারসহ বাসিন্দারা বলছেন, বিধিনিষেধ ওঠার পরও সকাল ৯টার আগ পর্যন্ত রাস্তাঘাট কিছুটা হলেও ফাঁকা থাকত। এখন সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই আজ সড়ক চলে গেছে নানা ধরনের পরিবহনের দখলে। গন্তব্যে পৌঁছাতে সবারই সময়ই লাগছে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি।

একাধিক বাসের যাত্রীর সঙ্গে কথা বললে যাত্রীরা জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় স্কুল খোলার প্রথম দিন যানজটের কারণে রাস্তা পারাপার কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিএনজি অটোরিকশার চালকরাও বলছেন, অন্য দিনের তুলনায় ট্রিপ পাচ্ছেন কম। রাইড শেয়ারিং অ্যাপে যারা গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালান, তাদের অভিজ্ঞতাও এক। ট্রিপ মিলছে কম, ট্রিপ শেষ করতে সময়ও লাগছে অনেক বেশি।
রাস্তায় ব্যস্ততম সময় পার করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরাও। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা বলেন, জ্যামের কারণে রাস্তায় যানবাহনের চাপ সামলাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। তবে স্কুল-কলেজ খুলে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতিও অনুমিতই ছিল বলেও জানাচ্ছেন তারা।

শাহাবাগ পুলিশ বক্সের দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মকর্তা মো. শহীদ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় রাস্তায় যানজট তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। তবে আমরা (ট্রাফিক পুলিশ) আমাদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছি। গুলিস্তানের মেয়র হানিফ ফ্লাইওয়ারে মাইলের পর মাইল যানজট লেগে ছিল। গতকাল দুপুরে সায়েদাবাদ পয়েন্ট থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

যানজটের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সম্পর্ক যেন অবিচ্ছেদ্য। যেকোনো কর্মদিবসে সকাল থেকেই যেন ক্লান্তিহীন ছুটতে থাকে সড়কগুলো। আর সকালের সময়টিতে সড়কে চাপের অন্যতম কারণ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের বাহন। করোনাকালে বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আর স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় যানজট থেকেও মুক্তি মিলেছিল রাজধানীবাসীর। তবে বিধিনিষেধ উঠে গেলে ফের ফিরে আসে যানজট। স্কুল-কলেজ খুলে যাওয়ায় সেই যানজট যেন একেবারেই ‘স্বাভাবিকতা’ ফিরে পেয়েছে। ফলে যানজটে পড়ে নগরবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগে পেহাতে হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ