পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তালেবান দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরেও কাজে ফিরতে শুরু করেছেন আফগান নারীরা। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই অবশ্য তালেবানের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে এবং শুরু থেকেই নারীদেরও কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এর আগে জানানো হয়েছে যে, নারীরা হিজাব পরে বাইরে বের হতে পারবেন এবং নিজেদের কর্মক্ষেত্রেও ফিরতে পারবেন। তালেবানের এমন আশ্বাস পাওয়ার পর অনেক নারীরাই এখন কাজে ফেরার সাহস পাচ্ছেন। তালেবান আফগানিস্তান দখলের আগে বিমানবন্দরে কাজ করতেন রাবিয়া জামাল নামের এক নারী। তালেবান নতুন সরকার গঠনের পর তিনি এক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনিও আবারও কাজে ফিরেছেন। তিন সন্তানের এই মা এই নারী বলছেন, তার আসলে আর কিছুই করার নেই। রাবিয়া বলেন, আমার পরিবারের জন্য আমাকে অর্থ উপার্জন করতে হবে। গাঢ় নীল রংয়ের বোরকা পরে মুখ ঢেকে রেখেছেন তিনি। তিনি বলেন, বাড়িতে বসে থেকে আমার খুব চিন্তা হচ্ছিল। আমার খুব খারাপ লাগছিল। গত ১৫ আগস্ট তালেবান দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে কাবুল বিমানবন্দরে ৮০ জনের বেশি নারী কর্মরত ছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ১২ জন এখন পর্যন্ত কাজে ফিরেছেন। শনিবার বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে ছয় নারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তারা গল্প করছিলেন এবং একে অন্যের সঙ্গে হাসি-ঠট্টায় মেতে উঠেছিলেন। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের আগে নারী যাত্রীদের তল্লাশি করছিলেন তারা। রাবেয়ার বোন কুদসিয়া জামাল (৪৯) এএফপিকে জানান, তালেবান নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার খবরে তিনি কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। পাঁচ সন্তানের জননী এই নারী জানান, তার পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তার। তিনি প্রথমে ভয় পেলেও এখন কাজে যেতে আর বাঁধা নেই। তিনি বলেন, আমি এখন খুব খুশি। এখানে কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।