Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুরে হাসি নেই ৮ বিদ্যালয়: খুলেছে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মাদারীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:২৮ পিএম

সশরীরে পাঠদান শুরুর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের। দেড় বছরেরও বেশি সময় পর স্কুল আঙিনায় প্রিয় শিক্ষার্থীদের পেয়ে আনন্দিত শিক্ষকরা। গুরুজনের কাছ থেকে দেখতে পেয়ে উৎফুল্ল শিক্ষার্থীরাও। রবিবার মাদারীপুরে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও বাঁধ সেজেছে ৮টি বিদ্যালয়ে। বানের পনি আর অবস্থাপনার কারণে আসতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। আর শিক্ষকরা আসলেও বসাতে পারেনি শিক্ষার্থীদের।
লম্বা সময় পর স্কুলে পাঠদানকে কেন্দ্র করে তাই প্রতিষ্ঠানগুলোও সেজেছে রঙিন সাজে। বেশিরভাগ স্কুলে শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়েছে ফুল দিয়ে। একাধিক প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, সবার মধ্যে বিরাজ করছে খুশির আমেজ। মাদারীপুরে কলেজ, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৯৯১টি। মধ্যে খুলেছে ৯৮৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
মাদারীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, জেলায় ২৮টি কলেজ, ১৭১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭০ মাদ্রাসায় একযোগে ক্লাস শুরু হয়েছে। আনন্দমুখর পরিবেশে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসেছে। দীর্ঘ দিন পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোয় আনন্দিত তারা। মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বানের পানি বা অবস্থাপনায় বন্ধ হয়নি। বরং আরো উল্লাস-উৎফুল্লতায় শিক্ষার্থী এসেছে। সবার মুখে মাস্ক ও হাতে স্যানিটাইজার করে ক্লাসে বসেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে ১৯টি দফা দিয়েছে, সেটা মেনে চলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, জেলার নিন্মমাঞ্চলগুলোতে বন্যার পানি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় শিবচর উপজেলায় চরাঞ্চল ও নদী বেষ্টিত ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্লাস হয়নি। তবে সেখানেও শিক্ষক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। জেলায় পাঁচ উপজেলায় ৭২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ৪০টি বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে, মাঠে ও যাতায়াতের রাস্তায় পানি উঠেছিল। তবে এখন অনেক বিদ্যালয়ে থেকেই পানি নেমে গেছে।
এব্যাপারে সদর উপজেলার কেডি দৌলতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম জানান, ‘আমাদের সন্তানদের ছেড়ে দেড় বছরের মতো বাড়ীতে ছিলাল। এখন মনে হয় প্রাণ ফিরে পেয়েছি। ছাত্র-ছাত্রী ছাড়া আমাদের শিক্ষকতা অপূর্ণতা থেকে যায়। এখন থেকে ওদের নিয়ে সচেতনভাবে ক্লাব করাবো।’
একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের খুব ভালো লাগছে। অনেক দিন পরে স্কুলে আইছি। এখন থেকে স্কুলে আসবো। কোন কামাই দিবো না।’
মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সদর উপজেলায় ২০৪টি বিদ্যালয়, শিবচর উপজেলায় ১৮০টি বিদ্যালয়, রাজৈর উপজেলায় ১৩৯টি এবং কালকিনি ও ডাসার উপজেলায় ১৯৯টি বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে শিবচর উপজেলার ৮টি বিদ্যালয় পানি থাকায় ক্লাস নেয়া সম্ভব হয়নি। যা দু’ তিন দিনের মধ্যে নেয়া হবে।
এব্যাপারে শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ উপজেলায় চর ও নিম্মামাঞ্চল বেশি। যে কারণে ২৬টি বিদ্যালয়ে পানি উঠলেও বর্তমানে প্রায় সবগুলো থেকেই পানি নেমে গেছে। তবে এম মধ্যে কাঁঠালাবাড়ী, মাদবরেরচর, সন্নাসীরচর, চরজানাজাত ও বন্দরখোলা ইউনিয়নের ৮টি বিদ্যালয় পানি না নামায় ক্লাস হয়নি। তবে কিছু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিদ্যালয় এসেছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ