বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিদ্যালয়ের ঘন্টার ঢং ঢং শব্দের পড়ে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের ১,২,৩,৪ রোল কলের সাথে সাথে উপস্থিত স্যার প্রেজেন্ট স্যার সরব শব্দের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাড়া প্রদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সারা দেশের ন্যায় পটুয়াখালী জেলার শ্রেনী শিক্ষা কার্যক্রম।
দেড়বছর পর আজ ১২ সেপ্টম্বর থেকে সারা দেশের সাথে পটুয়াখালী জেলার ১৮৫৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে সাতটায় পটুয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় দেখা গিয়েছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও দীর্ঘদিন পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা খুবই খুশি। তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জানান , এতদিন যেন তারা একটা বন্দীদশার মধ্যে ছিলেন ,আজ স্কুলের স্বাভাবিক শিক্ষার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পেরে তারা খুবই উৎফুল্ল।
দীর্ঘ্যদিন শ্রেনীকার্যক্রম চালু না থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম চালু করতে পরিস্কার পরিচ্ছনতার অভিযান চালিয়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ সহ প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা বৃন্দ জেলার প্রতিটি উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির প্রধানদেরকে নির্দেশনা সহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষন করেছেন।
পটুয়াখালী জেলার সর্বদক্ষিনে বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী রাঙ্গাবালী উপজেলার নেতা সালেহীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো:ফিরোজ জানান,তার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শতাধিক,তিনি ইতোমধ্যে তার বিদ্যালয়ের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শেষ করে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে এনে আজ শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করলেন।
পটুয়াখালী নেছারিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ মাহমুদ ওমর জিয়াদ জানান,সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষনার পর আমরা মাদ্রাসার সকল ধরনের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শেষ করে আজ থেকে মন্ত্রনালয় নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রেনীকার্যক্রম চালু করেছি।
পটুয়াখালী শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম জানান,তার বিদ্যালয়ে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে সকল ধরনের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শেষ করে আজ শিক্ষার্থীদেরকে অভ্যর্থনা জানিয়ে আমরা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি।আমরা শিক্ষকরা যেরকম খুশী তেমনি শিক্ষার্থীরাও আনন্দিত দীর্ঘদিন পরে সরাসরি শ্রেনীকার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পেরে।
পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা বিভাগের সহকারী জেলা শিক্ষাকর্মকর্তা মো: মজিবুর রহমান জানান, জেলায় মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৯৩ টি ,কলেজ ৫৪ টি, স্কুল এ্যান্ড কলেজ ৭ টি এবং মাদ্রাসা ২৬৬ টি ।সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষনা দেয়ার পরপরই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে আমরা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরকে অবহিত করার ব্যবস্থা সহ বাস্তব অবস্থা পরিদর্শন করেছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাইয়াদুজ্জামান জামান জানান, জেলার ১২৩৭ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা শেষে সম্পূর্ন প্রস্তুত করা হয়েছে স্বাস্থ্য বিধী মেনে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।