পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাক ডাকা ভোরে ঘুম ভেঙে রেডি হওয়া, ঢুলু ঢুলু চোখে স্কুলে যাওয়া, স্কুলে প্রবেশ করতেই সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলা, আড্ডা, গল্পে মজে উঠা - এসব যেন ভুলতেই বসেছিল শিক্ষার্থীরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ এই সময় শিক্ষার্থীদের কেটেছে ঘরবন্দী অবস্থায়। দেখা হয়নি প্রিয় বন্ধু, সহপাঠী, শিক্ষকদের সাথে। জমে আছে কত কথা, করোনাকালীন বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। ১০ দিন আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই যেন তা একে অপরের সাথে ভাগাভাগি করতে উদগ্রিব তারা। তাদের সেই অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে আজ। ৫৪৩ দিন পর আজ খুলছে দেশের স্কুল-কলেজ-মাদরাসা। সকাল থেকে ফের প্রতিটি ঘরেই শুরু হবে ব্যস্ততা, শিক্ষার্থীদের ঘুম ভাঙবে স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় যাওয়ার তাড়া নিয়ে। অভিভাবকরা ব্যস্ত থাকবেন সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দিতে। আর শিক্ষকরা আগের মতো পাঠদানে মনোযোগ দিবেন। শিক্ষার্থীরা ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গেটে প্রবেশ করতেই ভো দৌড় দিয়ে ছুটবে ক্লাস রুমে। তাদের হাসি, আনন্দ, আড্ডা, খেলাধুলা, ছুটোছুটিতে প্রাণ ফিরে পাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
দেড় বছর পর স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় আবারও যেতে পারবে এই সংবাদে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। তাদের মনে যেন বইছে আনন্দের বন্যা। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্র সাকিবুল ইসলাম বলেন, ঘরে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছি। কখন স্কুলে যাবো সেটার জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা বন্ধুরা ফোনে কথা বলেছি, সবাই মিলে অনেক মজা করবো, গল্প করবো।
রাজধানীর নির্ঝর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী এস এম সামাওয়াত জামিল তো স্কুলে গিয়ে কি করবে তার পরিকল্পনা লিখে রেখেছে। সামাওয়াতের লেখা একটা চিঠি তার মা জান্নাতুল লুৎফা সোমা ফেসবুকে দিয়েছেন। চিঠিতে সামাওয়াত লিখেছে- কালকে স্কুল যাওয়ার অনুভূতি: দেড় বছর পর স্কুল খুলবে। দেড় বছর পর স্কুলে যাব। স্কুল বন্ধকালীন সময় বন্ধুদের সাথে কোন দেখা সাক্ষাত হতো না। স্কুলে বন্ধুদের সাথে কি কি করব, কি কি করব না সেটা এখুনি মাথায় ঘোরাফেরা করছে। আমার এখুনি মনে হচ্ছে যেন আমি স্বাধীন। আমি অনেক খুশি কারণ আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমাদের স্কুল খুলে দিয়ে আমাদের শিক্ষাজীবন আবার আগের মতো করার পরিকল্পনা করেছেন।
শিক্ষার্থীদের এই উচ্ছ্বাস ও আবেগকে স্বাগত জানিয়ে তাদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের স্কুল-কলেজ এবং মাদরাসাগুলোর ধোয়া-মোছার কাজ শেষ করা হয়েছে। খেলার মাঠ, ক্লাসরুম করা হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা নিজেরাও অংশ নিয়েছেন এই কাজে।
কোন কোন স্কুল-কলেজ-মাদরাসার প্রবেশমুখে টাঙানো হয়েছে করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনাসংবলিত ব্যানার। শ্রেণিকক্ষের সামনে রাখা হয়েছে মাস্ক ও সতর্কতামূলক নির্দেশনা। হাত ধোয়ার জন্য পানির ট্যাংক ও কল স্থাপন করা হয়েছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে।
ঘরবন্দি শিক্ষার্থীরা যেমন আনন্দে উদ্বেলিত তেমনি উচ্ছ্বসিত শিক্ষকরাও। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীরাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। তাদের পদচারণায় শ্রেণিকক্ষ মুখরিত না থাকলে পাঠদানের ‘মজাটা আসে না’।
ভিকারুন নিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, ক্লাসের প্রথম দিন আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেবেন তারা। বেইলি রোড, আজিমপুর, ধানমন্ডি ও বসুন্ধরায় ভিকারুননিসার চারটি শাখার প্রবেশপথের সব ফটক বেলুন ও কাগজ দিয়ে সাজানো হবে। তিন ফুট দূরত্ব রেখে শিক্ষকরা গেটের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবেন। ছাত্রীরা যখন প্রবেশ করবে, শিক্ষকরা করতালি ও ড্রাম বাজিয়ে সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের ভেতরে প্রবেশ করানো হবে।
রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর আমেনা বেগম বলেন, শিক্ষার্থীরা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। দীর্ঘদিন পর কলেজ খুলবে, আমরা শিক্ষার্থীদের দেখবো, ক্লাস করাবো- এ এক অন্যরকম আনন্দ।
তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের কলেজ ক্যাম্পাসে বরণ করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা করোনা প্রতিরোধ বুথসহ নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া আমরা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরার উচ্ছ্বাসে ভাসছে, অন্যদিকে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা কবে ক্লাসরুমে ফিরতে পারবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের বন্যা কবলিত ও নদী ভাঙনে ১৫টি জেলার তিন শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্কুল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে শতাধিকের বেশি প্রতিষ্ঠান। ফলে সারাদেশের স্কুল-কলেজ-মাদরাসা যখন খুলছে তখন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
মাদরাসা খোলার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এম রুহুল আমীন বলেন, মন্ত্রণালয়ের দেয়া ২২ দফা প্রস্তুতি সকল মাদরাসাকে মেনে চলতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। মাদরাসায় ক্লাস শুরু হওয়ার পর মাঠ পর্যায়ে এসব নির্দেশনা মানা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হবে। তিনি বলেন, আমি নিজে আজ (গতকাল) রাজধানীর নয়াটোলা কামিল মাদরাসা, তেজগাঁও মদিনাতুল উলুম বালক মাদরাসা ও একটি বালিকা মাদরাসা পরিদর্শন করেছি। তাদের স্বাস্থ্যবিধির প্রস্তুতি মোটামুটি সন্তোষজনক।
বন্যা ও নদী ভাঙনে কতটি মাদরাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রথম দিন খুলতে পারবে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা তথ্য চেয়েছি, এখনো তা হাতে পায়নি। তালিকা হাতে পেলেই জানিয়ে দেয়া হবে। আর যারা ক্ষতিগ্রস্ত আছে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের সময় ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। শিক্ষার্থী কিংবা পরিবারের কেউ অসুস্থ বা করোনার উপসর্গ থাকলে তাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না পাঠাতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়গুলো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সংক্রমণ বাড়লে আবারও বন্ধ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়লে প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গতকাল শনিবার জামালপুর সার্কিট হাউসে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হতে যাচ্ছে। তারপরও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেলে প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
দীপু মনি বলেন, সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। আশা করি কেউ করোনায় সংক্রমিত হবে না। কারণ, সেখানে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে। কিন্তু অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। তাঁদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাড়িতে যদি পরিবারের কোনো সদস্য বা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপসর্গ থাকে, তাহলে ওই শিক্ষার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো যাবে না।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, শ্রেণি কক্ষ থেকে আঙ্গিনা, কমন রুম, খেলার মাঠ সবকিছু প্রস্তুত। ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে বেঞ্চ, চেয়ার টেবিল। ফটকের পাশে বেসিনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। অন্য রকম এক উৎসবের প্রস্তুতি চট্টগ্রামের স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। দীর্ঘ দেড় বছর পর আজ রোববার শিক্ষার্থীরা ফিরছে তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানে। তাদের পদচারণায় ফের মুখরিত হবে প্রাণের ক্যাম্পাস। করোনায় দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকা প্রিয় সতীর্থদের সঙ্গে মিলিত হতে উদগ্রীব ছাত্র ছাত্রীরা। অনেক দিন পর শিক্ষক শিক্ষিকাদের সান্নিধ্য পাবে তারা। শিক্ষকগণও তাদের ছাত্র ছাত্রীদের এক সাথে সরাসরি ক্লাসে পাবেন। মিলন মেলার অপেক্ষা চট্টগ্রামের কয়েক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সরকারি ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। গতকাল শনিবার শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। জেলা প্রশাসক ছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। নগরী ও জেলার ১১৪৮ টি স্কুল কলেজ ছাড়াও মাদরাসাসমুহ পুরোদমে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তারা। সশরীরে ক্লাস শুরুর সাথে সাথে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে নানা রকম প্রস্তুতি। মাস্ক নেই, স্কুল নেই- এমন নোটিস ঝুলছে স্কুলের ফটকে। বসানো হয়েছে বেসিন, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্লাস রুম পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। মাঠে গজিয়ে ওঠা ঘাস, জঙ্গল, ঝোপঝাড় কেটে সাফ করা হয়। কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হয়। ক্লাস রুমে, দেয়ালে জমে থাকা শেওলা পরিস্কার করা হয়। টয়লেট ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। নগরীর কলেজিয়েট স্কুল, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুল, মুসলিম হাই স্কুল, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ নগরীর সব স্কুল প্রস্তুত। চট্টগ্রাম কলেজ, সরকারি বাণিজ্য কলেজ, সিটি কলেজ, হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজসহ সব কলেজ ক্লাস নেওয়ার আয়োজন সম্পন্ন করেছে। নগরীর ষোল শহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা, নেছারিয়া মাদরাসা, ছোবহানিয়া আলিয়াসহ মহানগরী ও জেলার মাদরাসাগুলোতে ক্লাস শুরু করতে প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ছাত্রাবাস খুলে দেয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রুটিন প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বাসা বাড়িতেও প্রস্তুতির কমতি নেই। নতুন ইউনিফর্ম, স্কুল ব্যাগ, মাস্ক নিয়ে ক্লাসে ফিরতে তৈরি তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীকে স্কুলে দিয়ে অভিভাবকদের স্কুলের সামনে জটলা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। নগরীর ডিসি হিল সংলগ্ন ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুল ও ডা. খাস্তগীর বালিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অভিভাবকরা যদি তার সন্তানটিকে স্কুলে দিয়ে চলে যান এবং ছুটি হলে নিতে আসেন তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটা এড়ানো সম্ভব। তাই অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন স্কুলের বাহিরে অপেক্ষা না করেন। জেলা প্রশাসক বলেন, মাস্ক ছাড়া কেউ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িতদের মাস্ক পরতে হবে। চট্টগ্রামে উপজেলা পর্যায়ের সকল স্কুল-কলেজ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা পরিদর্শন করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।