পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের দলগত আদর্শ জাতির জন্য বাধ্যতামূলক হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শপথ পাঠে দলীয় আদর্শ গ্রহণের ‘বাধ্যবাধকতা’ সৃষ্টি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরল, এমনকি রাজতন্ত্রেও নেই। শপথবাক্য পাঠ সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সত্যকে অস্বীকার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শপথবাক্য পাঠের অপরিপক্ক ও অনৈতিক নির্দেশনা দ্রুত প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আ স ম রব বলেন, বাংলাদেশ নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামের ফসল। স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লড়াইয়ে অর্থাৎ সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ঐতিহাসিক বাস্তবতায় তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন প্রবাসী সরকার নেতৃত্ব দিয়েছে। এই ঐতিহাসিক সত্য এবং অন্যান্যদের ঐতিহাসিক অবদানকে অস্বীকার করে একরৈখিক ভুল ইতিহাস উপস্থাপন করে তরুণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তির শিকলে আবদ্ধ করা কোনোক্রমেই ন্যায়সঙ্গত নয়। সরকারের ইচ্ছামাফিক কোন ‘প্রেস নোট’ বা ‘সার্কুলারে’ বাঙালির সুদীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস রচিত হতে পারে না।
আ স ম রব আরও বলেন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ও বঙ্গবন্ধুর নামেই আমরা যুদ্ধ করেছি, মুজিব বাহিনী বা বিএলএফ গঠন করেছি। স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের দীর্ঘ লড়াইয়ে যার যা অবদান এবং আত্মত্যাগ রয়েছে, তা স্বীকার না করলে বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা বিনষ্ট হয়, প্রশ্নবিদ্ধ হয়। সবাইকে অস্বীকারের সরকারি সংস্কৃতি কোনোক্রমেই ঐতিহাসিকতাকে ন্যায্যতা দেয় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।