পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পালিয়ে ভারতে গিয়ে ধরা পড়া বনানী থানার বরখাস্ত পরিদর্শক শেখ সোহেল রানাকে পুলিশ রিমান্ড শেষে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত বুধবার রাত থেকে জায়গা হয়েছে মেখলিগঞ্জ সাব জেলের কুঠরিতে অন্য বন্দিদের সঙ্গে গাদাগাদি করে সাধারণ ওয়ার্ডে।
কিন্তু বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা তার পুলিশি মেজাজটা আর ছাড়তে পারছেন না। জেলের অন্য ইনমেটদের ওপর হুকুমবাজির অভ্যাসটা তিনি ছাড়তে পারেননি। বাড়তি একটা মনোযোগ পাচ্ছেন বিদেশি হওয়ায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। কলকাতায় কারা বিভাগের খবর অনুযায়ী— সোহেল রানাকে একজন অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তাকে সাধারণ সেলেই রাখা হয়েছে।
সেখানে ঘুমানোর জন্য কঠিন মেঝে ও একটি কম্বল, প্রাতরাশে লপসি আর এক মগ চা। দুপুরে ডাল—ভাত, সবজি। রাতে এক পিস ডিম কিংবা এক চিলতে মাছ। সপ্তাহে একদিন মাংস। বাতানুকূল ব্যবস্থায় থাকতে অভ্যস্ত সোহেল রানা সলিটারি সেলের আবেদন জানিয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তপন রায় বলেন, সোহেল রানাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর তাকে আবার আদালতে তোলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে পর্যন্ত উনি জেল হেফাজতে থাকবেন। সোহেল রানার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আমরা আবেদন করেছি, জেলে থাকা অবস্থায় যেন ওনার ট্রিটমেন্ট করা হয়। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
এদিকে, রাজ্যের কারা বিভাগ থেকে এইরকম কোনো নির্দেশ না আসায় মেখলিগঞ্জ সাব জেল সোহেল রানার জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থা রাখেনি। রাজ্যের কারা দপ্তরের এক অফিসার জানান, তারা জানেন যে, সোহেল রানা বাংলাদেশে হোয়াইট কালার ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত। এটাও জানেন যে, বাংলাদেশ সরকার তাকে ফিরে পেতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু কোর্টের আদেশে সোহেল রানা এদেশে একজন অনুপ্রবেশকারী। তাই তার ব্যবস্থা জেলে সাধারণ অনুপ্রবেশকারীদের মতোই। কোর্ট কোনো বিশেষ আদেশ দিলে তবেই সোহেল রানা কোনো সুবিধা পেতে পারেন, তার আগে নয়। বাংলাদেশ কিন্তু সোহেল রানাকে ফেরত চায়। ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত সোহেল রানার বিচার তারা চায় বাংলাদেশের মাটিতেই।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে সোহেল রানাকে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা। সোহেল রানা রাজধানীর বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বোন ও ভগ্নিপতি ই—কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই—অরেঞ্জ’ পরিচালনা করতেন। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোহেলের নামও এসেছে। এ ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এদিকে, প্রতারণার অভিযোগে ই—অরেঞ্জের বিরুদ্ধে করা মামলা দুটির তদন্ত থানা পুলিশ করলেও সিআইডিও অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, তারা মামলা দুটির বিষয়ে নিজ উদ্যোগেই খেঁাজ নিচ্ছেন। ই—অরেঞ্জের মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যারা জড়িত তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ—লেনদেনের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছি।
এদিকে মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্বে থাকা গুলশান থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা প্রত্যেক আসামির তথ্য সংগ্রহ করছেন। আমরা কিছু মোবাইল ফোন নাম্বার পেয়েছি, সেগুলোর কল ডিটেইলস রেকর্ড (সিডিআর) সংগ্রহ করছি। পাশাপাশি সিআইডির কাছে মানি লন্ডারিং বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে তা জানাতে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। এই ই—কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ যারা করেছেন, তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য নিচ্ছে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।