মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান বুধবার বিশ্বকে ‘পুরানো দৃষ্টিভঙ্গি’ বাতিল করে এবং আফগানিস্তান সম্পর্কে একটি ‘বাস্তবসম্মত এবং বাস্তববাদী’ পদ্ধতিতে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।পাকিস্তানের এই বিবৃতিকে আফগান তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চাওয়ার জন্য ইসলামাবাদের একটি প্রচেষ্টা হিসাবে দেখছেন পর্যবেক্ষকরা।
বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির এই বক্তব্য এমন সময়ে এল, যার একদিন আগেই তালেবান একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেছিল। তবে সেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থাপনার দাবি উপেক্ষা করায় পশ্চিমা দেশগুলো এর সমালোচনা করেছিল। কুরেশি একটি মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে সহায়তার জন্য ছয়টি দেশের আঞ্চলিক ফোরামে তালেবান পরিচালিত আফগানিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানোর পরামর্শ দেন। তিনি আফগানিস্তান নিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। প্রথমে তিনি ইরান, চীন, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং তাজিকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করেন। পরে, তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহ-আয়োজক আরেকটি বৈঠকের অংশ ছিলেন।
উভয় বৈঠকে কুরেশির বার্তা স্পষ্ট ছিল যে, বিশ্বকে নতুন বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে। যদিও তিনি তা স্পষ্ট করে বলেননি, কিন্তু তার সাবধানে লিখিত বক্তব্যটিই যথেষ্ট ছিল যে, পাকিস্তান চায় বিশ্ব আফগান তালেবান সরকারের সঙ্গে কাজ করুক। ভার্চুয়াল বৈঠকে কুরেশি বলেন, ‘নতুন পরিস্থিতির জন্য পুরানো দৃষ্টিভঙ্গি বাতিল করা, নতুন অন্তর্দৃষ্টি বিকাশ করা এবং বাস্তববাদী এবং বাস্তবসম্মত পদ্ধতির সাথে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।’
বিশ্ব যদি আফগানিস্তানকে পরিত্যাগ করে তাহলে সেখানে অর্থনৈতিক মন্দা এবং মানবিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে। এই আশঙ্কার কারণে প্রতিবেশী দেশ হিসাবে নতুন সরকারের জন্য সমর্থন চাইছে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি আয়োজিত বৈঠকে বক্তৃতা করতে গিয়ে কুরেশি এমনকি আফগানিস্তানের বৈদেশিক মজুদ ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা কাবুল পতনের পর আমেরিকা আটকে রেখেছিল। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই আফগান জনগণকে প্রথমে রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে আফগানিস্তান তার বৈদেশিক মজুদ বা আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকার অস্বীকার করলে আমরা দীর্ঘস্থায়ী আফগান জনগণের দুঃখকে বাড়িয়ে তুলব।’
মন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তান মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে বসে আছে। ‘আমরা সবাই আফগানিস্তানে দুর্ভিক্ষ, খাদ্য ঘাটতি, এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রতিবেদন দেখেছি।’ তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তাদের কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রাখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। সূত্র: ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।