বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মোংলা বন্দর জেটিতে আমদানীকৃত রিকন্ডিশন গাড়ী বহনকারী একটি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের ডেক বা তলদেশ ছিদ্র হয়ে পানি ঢুকে গাড়ী নিমজ্জিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পানি অপসারণ করে জাহাজের ভিতরে থাকা গাড়ীগুলো খালাস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ লিঃ ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় গাড়িগুলো গ্রহণ করতে চাইছেন না আমদানীকারকেরা। পানিতে নিমজ্জিত থাকায় গাড়িগুলো ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে জানান আমদানীকারকেরা। তারা বলছেন, শিপিং এজেন্টের কাছ থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোংলা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ‘মালয়েশিয়া স্টার’ নামের জাহাজটি আমদানীকৃত গাড়ী নিয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরের জেটিতে ভিড়ে। জাহাজ থেকে গাড়ী খালাস শুরুর পর গত মঙ্গলবার জাহাজের ডেক ছিদ্র হয়ে ভিতরে পানি ঢুকে পড়ে। ‘মালশিয়া স্টার’ নামের জাহাজটি এর আগেও কয়েকবার মোংলা বন্দরে আমদানীকৃত গাড়ী খালাস করেছে। আমদানীকৃত গাড়ীগুলো খালাস করে একদিন আগেই অর্থাৎ মঙ্গলবার জাহাজটির বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন শাহাদাত হোসেন বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় শিপিং এজেন্টসহ সকলের যৌথ উদ্যোগে পাম্প দিয়ে জাহাজের পানি অপসারণ করা হয়েছে। জাহাজের মধ্যে এখন কোন পানি নাই। জাহাজে থাকা সবগুলো গাড়ী নামিয়ে ফেলা হয়েছে। জাহাজটিতে একটা ছিদ্র হয়েছিলো, যেটি মেরামতও করা হয়েছে। কিছু গাড়ী পানিতে নিমজ্জিত হয়েছিল। তবে তাতে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ নিয়ে বুধবার বারভিডা’র প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে আসেন।
আমদানীকৃত গাড়ী নিয়ে আসা ‘মালশিয়া স্টার’ নামের জাহাজটি স্থানীয় শিপিং এজেন্ট প্রতিনিধি ওহিদুজ্জামান বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভিন্ন আমদানীকারকের ৬৩৯টি গাড়ী নিয়ে জাহাজটি বন্দরে আসে। জাহাজটিতে একটি ছিদ্র হয়েছিল। ইতিমধ্যেই পাম্প দিয়ে পানি বের করা হয়েছে। পানিতে ১৬টি গাড়ী সামান্য ভিজেছে। তবে কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। আজ বুধবার রাতে জাহাজটি এ বন্দর ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
পানিতে নিমজ্জিত থাকায় গাড়িগুলো ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে দাবি করে আমদানীকারক আলমগীর কবীর রুবেল বলেন, শিপিং এজেন্টর গাফিলতির কারণে আমরা বেশী ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি। সমস্যার সমাধান না হলে জাহাজ বন্দর ছাড়তে দেয়া হবে না। বন্দরকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আমদানীকৃত বেশীরভাগ গাড়িই পূর্ব থেকে ক্রেতাদের ক্রয়আদেশের বিপরীতে কেনা। কাজেই, গাড়ী আমদানীতে একদিকে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে। অন্যদিকে, ক্রেতারা গাড়ি গ্রহণ না করলে তাদের অর্থ ফেরত দিতে হবে। ফলে, লোকসানের বোঝা নিয়ে আমাদের পথে বসতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।