বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নানা ঘটনা, অস্ত্রহাতে মহড়া ও হামলার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বেশ কয়েক মাস পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আলোচিত সহিদ উল্যাহ প্রকাশ কেচ্ছা রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় তার কাছ থেকে একটি দেশিয় এলজি, একটি পাইপগান ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের লোহারপুল এলাকায় তার শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাসেলকে। রাসেল বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের করালিয়া গ্রামের শফি উল্যাহর ছেলে। তিনি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অনুসারি।
জানা যায়, তার বিরুদ্ধে ২০০৬ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত অস্ত্রসহ বিভিন্ন ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ বসুরহাট বাজারে চলতি বছরের ১৩ মে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে গুলি করলে আলোচনায় আসে রাসেল। গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে কোম্পানীগঞ্জে চলে আসা রাজনৈতিক অস্থিতিশিলতার মূল হোতা এই রাসেল। আবদুল কাদের মির্জার অনুসারি হিসেবে তার বিরুদ্ধে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নূর নবী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহ জাহান সাজু, ছাত্রলীগ নেতা করিম উল্যাহ শাকিল ও সাংবাদিক সুভাস চন্দসহ অন্তত ২০জনকে গুলি করে, পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে অনেকে এখনও পুঙ্গত্ব অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৩মে বিকেলে বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড করালিয়া এলাকায় মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের গুলি করতে গেলে সিসি টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে তার অস্ত্র হাতের ছবি।
অপরদিকে একই রাতে কোম্পানীগঞ্জের মুছারপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারি ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে জানিয়েছে পুলিশ।
রাসেল ও শাহীনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত রাসেলের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রন আইনে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।