নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রায় দুই বছর আগে ক্যাসিনোকান্ডে প্রথমবার কলঙ্কিত হয়েছিল দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। এবার তারা ফিক্সিংকান্ডে জড়িয়ে দ্বিতীয়বার দেশের ফুটবল ও এলাকাবাসীকে লজ্জা দিলো। নিষিদ্ধ জুয়া ক্যাসিনো চালানোর দায়ে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আরামবাগ ক্লাব সীলগালা করে দেয় আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। এবার তাদের বিরুদ্ধে ওঠে চলতি মৌসুমের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। যে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চলতি বছরের ২৯ আগস্ট আরামবাগকে প্রথম বিভাগে নামিয়ে দেয়া ছাড়াও তাদের কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ ও অর্থদন্ড দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
তবে বিপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় ক্লাবটি কঠিন শাস্তি পেলেও এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছেন আরামবাগের কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এম স্পোর্টসের স্বত্বাধিকারী ফিক্সিং মাস্টার মো. মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি ও প্রতারণার মামলা করেছেন তারা। মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন আরামবাগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব আলী। তিনি নিজেই বাদী হয়ে ৬ সেপ্টেম্বর সিএমএম কোর্টে এ মামলা করেন বলে জানান। যার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় মঙ্গলবার থেকেই।
ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমাদের ক্লাবকে কলঙ্কিত করেছে মিনহাজ। তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ভালো দল গঠন ও পরিচালনার জন্য। সে তার পদ-পদবী অসৎ কাজে ব্যবহার করে আমাদের ক্লাব ও এলাকার সম্মান নষ্ট করেছে। এজন্য আমরা তার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ১০ কোটি টাকার মানহানি ও প্রতারণার মামলা করেছি।’ তিনি আরও জানান, আরামবাগ ক্লাবের পক্ষে আইনজীবী মো.আনোয়ার হোসেন এই মামলা পরিচালনা করছেন।
ক্যাসিনোকান্ডের পর নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে দল গঠন করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল আরামবাগের জন্য। সেই মুহূর্তে মিনহাজ আরামবাগকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে এগিয়ে আসেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষ তখনই তাকে দেয় সভাপতির দায়িত্ব। বিকেএসপির প্রাক্তন শিক্ষার্থী মিনহাজ বসুন্ধরা কিংস থেকে চাকরি হারানোর পর আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সঙ্গে যুক্ত হয়েই তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ক্লাবকে অনলাইন বেটিং ও স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ফেলেন। তিনিই ভারতীয় জুয়াড়িদের ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন। জানা যায়, অনেক খেলোয়াড় বাধ্য হয়েই স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ান। যার শেষ পরিণাম হয় আরামবাগের কঠিন শাস্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।