মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অব্যবহৃত লাখ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উন্নয়নশীল বিশ্বে সরবরাহের জন্য জি-৭ দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। এ বিষয়ে একমত হতে জি-৭ এর একটি জরুরী শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে তিনি তার দলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার স্কাই নিউজের ট্রেভর ফিলিপসকে দেয়া সাক্ষাতকারে ব্রাউন বলেন, ধনী এবং দরিদ্র দেশগুলোতে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতার মধ্যে ব্যবধান ‘সমগ্র বিশ্বের পক্ষ থেকে একটি নৈতিক ব্যর্থতা’। তিনি বলেন, ‘ইউরোপ ভ্যাকসিনের জন্য আফ্রিকার উপর অভিযান চালাচ্ছে। তারা এমন সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিনের সরবরাহ নিচ্ছে যখন তাদের দেশে লাখ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন অব্যবহৃত রয়ে গেছে বা আগামী মাসগুলোতে ডেলিভারির জন্য রেখে দেয়া হয়েছে।’
লেবার দলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমৃদ্ধ ও শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭ এর নেতারা চলতি বছরের জুন মাসে বরিস জনসনের সভাপতিত্বে কর্নওয়াল সম্মেলনে একত্রিত হয়েছিলেন। তবে তারা ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পুরো বিশ্বকে টিকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদানে ব্যর্থ হন। তিনি বলেন, তাদের এখন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দেখা করতে হবে যাতে উন্নয়নশীল বিশ্বে ভ্যাকসিন প্রদানের পরিকল্পনা করা যায়। তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে, আফ্রিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মাত্র ২ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে। তাই সেখানে ৯৮ শতাংশই অসুরক্ষিত। এটা আমাদের জন্য খারাপ, কারণ এই রোগটি আবার আফ্রিকা থেকে আমাদের তাড়া করবে এবং এখানে এমনকি সম্পূর্ণরূপে টিকা নেয়া ব্যক্তিদেরও নতুন রূপে আঘাত করবে।’
লাখ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন অব্যবহৃত রয়েছে যা হয় সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে অথবা যুক্তরাজ্য সহ ইউরোপ ও আমেরিকাতে সরবরাহের জন্য অর্ডার করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষে অব্যবহৃত ভ্যাকসিনের পরিমাণ হবে ৩০ কোটি, অক্টোবরের শেষের দিকে ৫০ কোটি ডিসেম্বরের শেষে এর পরিমাণ হবে ১০০ কোটি। এই তথ্য জানিয়ে ব্রাউন বলেন, ‘এই টিকাগুলি আফ্রিকার হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে। ধনী দেশগুলোর নীতিগত সিদ্ধান্তের চেয়ে কোনো সমস্যা বেশি জীবন বাঁচাতে পারে না। এই উদ্বৃত্ত অব্যবহৃত মজুদ করা স্টকগুলো আসলে সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোতে যাওয়া উচিত। সেখানে নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্যে এগুলো অত্যন্ত প্রয়োজন, যারা এই রোগের বিরুদ্ধে টিকা ছাড়াই লড়াই করছে।’
ব্রাউন মনে করেন এ জন্য জরুরী পদক্ষেপ নেয়ার দায়িত্ব জনসনসহ জি৭ নেতাদের। তিনি বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের একটি জরুরী শীর্ষ সম্মেলন ডাকতে হবে। আপনি আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের উপর নির্ভর করতে পারবেন না, তারা যেমন ভালো। আপনি তাদের উপর নির্ভর করতে পারবেন না। শুধুমাত্র নেতারা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেবলমাত্র সেই নেতারা যারা তাদের নিজের দেশে ভ্যাকসিন বরাদ্দ নিয়ন্ত্রণ করে তারা অন্য দেশে সেগুলো স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সুতরাং এটি সত্যিই জো বাইডেন, বরিস জনসন, অ্যাঞ্জেলা মার্কেল এবং ইমানুয়েল ম্যাখ্যোঁর উপর নির্ভর করে। এই নেতারা একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। প্রত্যেকে অবদান রাখতে পারে, অর্থ উপলব্ধ করা যেতে পারে।’ সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।