বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মোংলায় কোষ্টগার্ডের হাতে আটক ভারতীয় জেলেদের বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে আটক ট্রলার ও জেলেদের বিরুদ্ধে ১৯৮৩ সালের সমুদ্র সীমা লঙ্ঘন ও সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় পৃথক মামলা দায়েরের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
সাগরের গভীরে বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে কোষ্টগার্ডের নিয়মিত টহলরত জাহাজে থাকা সদস্যরা ওই জেলেদের ধাওয়া করে ট্রলারসহ আটক করে গত শুক্রবার রাতে তাদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করে।
মোংলা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে কোষ্টগার্ডের টহলরত জাহাজ বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়ার আনুমানিক ৭৩ কিলোমিটার উত্তরে দেশিয় পানিসীমা এলাকায় বেশ কয়েকটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করতে দেখে। এসময় বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড মোংলা দ্বিগরাজে পশ্চিম জোনের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে আটক করতে গেলে ট্রলার ও জাল নিয়ে দ্রæত তাদের ভারতের সীমানায় চলে যায়।
এসময় অভিযান চালিয়ে পিতা-মাতার আর্শিবাদ নামের ফিশিং ট্রালারে থাকা জেলে মহোন দাশ (৩৫), রুবেল দাশ (২৪), বিধান দাশ (২৮), অভি দাশ (২৬), হরি দাশ (২৭), রনো দাশ (২২), শুনিল দাশ (৫০), জয়নাল দাশ (১৯), মহাদেব (২৩), শুধির (৫০), বিষ্ণ দাশ (৬০), সর্মাট দাশ (২০) ও গৌরাঙ্গ দাশ (৫০) সহ ১৩ ভারতীয় জেলেসহ ট্রলারটি আটক করতে সক্ষম হয়। আটক এ সকল জেলেদের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কুলতলী থানার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে। ভারতীয় ওই ট্রলারে থাকা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়ে ধ্বংস করা হয় এবং অবৈধভাবে আহরণ করা মাছ নিলামে বিক্রি করে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।