পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ভারতে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিনা অপরাধে ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হামলা চালাচ্ছে সেদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। হামলাকারী উগ্র হিন্দুরা সন্তানের সামনেই বাবাকে নির্যাতন করছে এবং জোর করে হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ, জয় শ্রীরাম, প্রভু রামের জয় হোক , এ ধরনের স্লােগান দিতে বাধ্য করছে। হিন্দু প্রধান এলাকাগুলোতে মুসলিম পরিবারগুলো স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মকর্ম পালন ও নিরাপদে বসবাস করতে পারছে না। বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এসব হামলার সংবাদ বারবার শিরোনাম হওয়ার পরেও ভারত সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনগত শাস্তির ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অথচ বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ সাপ্রদায়ক সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে ।একই উঠানে এবং পাশাপাশি মসজিদ এবং মন্দির থাকার পরেও কোন ধরনের স¤প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা ঘটছে না।
তিনি বলেন, গত আগস্ট মাসেই ভারতে মুসলিম নির্যাতনের কয়েকটি ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। বিগত মার্চে ১৪ বছর বয়সী একজন মুসলিম বালক পিপাসার্ত হয়ে পানি পান করার জন্য হিন্দুদের একটি মন্দিরে প্রবেশ করেছিল।এই অপরাধে তাকে নির্দয়ভাবে প্রহার করা হয়েছে। তাছাড়া ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ৪৫ বছর বয়সী একজন মুসলিম রিকশাচালককে তার শিশু সন্তানের সামনেই নির্যাতন করা হয়েছে। এ সময় ভয়ে তার ছোট্ট মেয়েটি তার পিতাকে প্রহার না করার জন্য আকুতি জানাচ্ছিল।
আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী আরো বলেন, ক্ষমতাসীনদের উস্কানির কারণেই এসব সহিংসতা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। অনলাইন বিবিসির প্রতিবেদনে গীতা পান্ডে বলেন, মোদির প্রথম মেয়াদে ক্ষমতার সময়ে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। বিশেষ করে কেউ গরুর মাংস খেলে বা বিক্রির চেষ্টা করলে, গরু জবাই করলে তাদের ওপরে জঘন্যভাবে হামলা চালানো হতো। মুসলিম নির্যাতনের এসব ভিডিও ভারতের মুসলমানদের উপর অন্যায় আক্রমণের চিত্রকে ফুটিয়ে তুলছে। ভারতে এতসব মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা ঘটা সত্তে¡ও ভারতের মোদী সরকার অপরাধীদের বিচার করা তো দূরের কথা এসব ঘটনার কারণে নিন্দা জানানোরও প্রয়োজন বোধ করছে না। আল্লামা আতাউল্লাহ হাফিজ্জী ভারতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।