পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনের লড়াকু নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির লাশ তার পরিবারের কাছ থেকে ‘লজ্জাজনকভাবে ছিনিয়ে নেয়া’র নিন্দা জানাতে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করেছিল পাকিস্তান। এ সময়ে শাহ গিলানির ইচ্ছা অনুযায়ী তার দাফন অনুষ্ঠান করতে না দেয়ারও নিন্দা জানানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে শুক্রবার। তাতে বলা হয়েছে, ভারতীয় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল। কাশ্মীরের আইকনিক নেতা এবং স্বাধীনতা যোদ্ধা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির লাশ নিয়ে নিষ্ঠুর এবং অমনাবকিভাবে ভারতের দখলদার বাহিনী যে আচরণ করেছে তার বিরুদ্ধে পাকিস্তান কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। ভারতীয় ওই কর্মকর্তার মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে যে, ভারত যে আচরণ করেছে তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সব আইনের ভয়াবহ লংঘন এবং সব রকম নাগরিক ও মানবাধিকারের লংঘন। গত বুধবার ইন্তেকাল করেন গিলানি। বৃহস্পতিবার খুব ভোরে কঠোর নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিতে তার লাশ দাফন করা হয়। এ সময় ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরজুড়ে লকডাউন আরোপ করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা এএফপি’কে পুলিশের একটি সূত্র বলেছেন, তাকে শ্রীনগর শহরে বাড়ির কাছেই একটি কবরস্তানে দাফন করা হয়েছে। এতে খুব কম সংখ্যক আত্মীয়কে উপস্থিত থাকতে দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ছিলেন তার দুই ছেলে। ভারতের কঠোর সমালোচক ছিলেন গিলানি। তিনি চেয়েছিলেন কাশ্মীরকে স্বাধীন করতে। এ কারণে অনেক বছর তাকে জেলে বা গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। চেয়েছিলেন শ্রীনগরে শহীদদের কবরস্তানে তাকে দাফন করা হবে। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা আসলে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কঠোর করেছিলাম। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার বিবৃতিতে বলেছে, বারবার ভারতের দখল করা কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরিদের বিক্ষোভ করার অধিকারের প্রতি বৈষম্য করছে। এর মধ্য দিয়ে তারা অমানবিকতা দেখাচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের দৃষ্টিতে ভারত অতীতে যেসব কর্মসূচি দেখেছে, তা যাতে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সে জন্য কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্কতা দিয়ে বলছে, এসব বলার মধ্য দিয়ে দৃষ্টি অন্যখাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে ভারতীয় দূতকে পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছে, এমন কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে ভারতকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে, যা আঞ্চলিক শান্তিকে বিপন্ন করে। আরো জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, বেআইনিভাবে কাশ্মীরের সামরিক দখলদারিত্ব প্রত্যাহার করা উচিত ভারতের। সেখানকার জনসংখ্যাতত্ত্বকে পাল্টে দেয়ার চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। প্রত্যাহার করতে হবে দখলদার সেনাদের। বন্ধ করতে হবে মানবাধিকার লংঘনের সব পন্থাকে। ওদিকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইসলামাবাদের ফয়সাল মসজিদে হুরিয়াত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এবং অন্য নেতারা। ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।