পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তালেবানের শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাই আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা হচ্ছেন। বুধবার তালেবান এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ তালেবান নেতাদের বরাতে জানিয়েছে, আখুন্দজাদা হবেন আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তার অধীনে একজন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাবেন। সরকার গঠনের আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। আজ শুক্রবারই ঘোষণা আসতে পারে।
তালেবানের কালচারাল কমিশনের সদস্য আনামুল্লাহ সামানগানি বলেন, আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। প্রয়োজনীয় আলাপও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আফগানিস্তানে ইসলামি মডেলের যে সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে তা হবে মানুষের জন্য আদর্শ। তিনি আরো বলেন, সরকারে আমিরুল মুমেনীন আখুন্দজাদার উপস্থিতির বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি হবেন সরকারের নেতা এবং এ বিষয়ে কোথাও থেকে কোনো প্রশ্ন প্রত্যাশিত নয়।
টোলো নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে ইঁরানের ধাচের সরকার গঠন হতে যাচ্ছে। ইরানের একজন প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভা রয়েছে। দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতা দেশের সর্বোচ্চ প্রধান ব্যক্তি। তার কাজ আইন প্রণয়ন ও বাতিল করা। সকল বিষয়ে তাকে প্রধান কর্তা মানা হয়।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। গত দুই সপ্তাহে সংগঠনটির সর্ব স্তরের নেতাকর্মীদের দেখা মিললেও সর্বোচ্চ নেতা (সুপ্রিম লিডার) হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা এখনও পর্দার আড়ালে রয়েছেন।
তালেবানের এ সুপ্রিম লিডার কোথায় আছেন তা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশ করছে। রোববার তালেবানের একজন সিনিয়র নেতা জানান, সুপ্রিম কমান্ডার হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা শিগগিরই জনসম্মুখে আসছেন।
তালেবানের উপমুখপাত্র বিলাল কারিমি আল—জাজিরাকে জানিয়েছেন, আখুন্দজাদা আফগানিস্তানেই আছেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি যে তিনি (আখুন্দজাদা) কান্দাহারে রয়েছেন। শিগগিরই তিনি জনসম্মুখে আসবেন। সূত্র : টোলো নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।