বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার টিক্কাপুর হাওরে নৌকা ভ্রমণ যেয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক নববধূ। এসময় ধর্ষণকারীদের হামলায় গুরুতর আহত হন ওই নববধূর স্বামী রাকিব আহমেদ ও তার বন্ধু রকিব মিয়া। এছাড়াও গণধর্ষণের ঘটনা ভিডিও ধারণ করে রেখেছে ধর্ষণকারীরা। গণধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে জানালে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে নববধূ ও তার স্বামীকে। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে গত বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে এ বর্ণনা দেন নির্যাতিতা গৃহবধু ও তার স্বামী রাকিব আহমেদ। রাকিব আহমেদ উপজেলার মোড়াকড়ি গ্রামের বাসিন্দা। রাকিব জানান, প্রায় মাস খানেক পুর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন একই গ্রামের এক মেয়েকে তিনি । বিয়ের একদিনের মাথায় তিনি কাজের সুবাধে চলে যান ঢাকায়। ক’দিন আগে তিনি ফের বাড়ি ফিরেন। এরপর গত ২৫ আগস্ট দুপুরে তিনি, তার স্ত্রী ও তার বন্ধু রকিব মিয়া হাওরে নৌকাভ্রমণে যান। এক পর্যায়ে রাকিবের গ্রামের মুছা মিয়া, সুজাত মিয়া, হৃদয় মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া ও জুয়েল মিয়া সহ ৫/৬ জন যুবক নৌকাযোগে এসে গতিরোধ করে তাদের নৌকার। পরে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে ও তার বন্ধুকে মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাকিবের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে পালাক্রমে তারা। রাকিব আহমেদ বলেন, ধর্ষণকারীরা তার স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা ঘটনাটি কাউকে না জানাতে বলে এবং বিষয়টি জানাজানি হলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায় ধর্ষণকারীরা। তিনি বলেন, বাড়িতে আসার পর বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে ও ধর্ষণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কাউকে জানাননি তারা। তবুও গত ক’দিন ধরে মুছা মিয়া, সুজাত মিয়া, হৃদয় মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া ও জুয়েল মিয়া ওই ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। একপর্যায়ে ভিডিওটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। বর্তমানে রাকিবের স্ত্রী হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিদর্শন করেন ঘটনাস্থল।
এ বিষয়ে লাখাই থানার (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান জানান, ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ হয়েছে। তারা এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাদিরা বেগম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে সেধর্ষণের শিকার হয়েছে কি-না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই বলা যাবে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।