Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সি.১.২ আরো শক্তিশালী!

গবেষকদের আশঙ্কা টিকাকেও হারাতে পারে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসের আরও একটি নতুন রূপ ধরা পড়েছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টকে টিকা হার মানাতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বেশ কিছু দেশে ইতোমধ্যেই এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। এক গবেষণা অনুযায়ী, এটি অনেক বেশি সংক্রামকও।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস (এনআইসিডি) এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল রিসার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড সিকোয়েন্সিং প্ল্যাটফর্মের (কেআরআইএসপি) বিজ্ঞানীরা করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে জানিয়েছেন। চলতি বছর মে মাসে নতুন ভ্যারিয়েন্ট (সি.১.২) খোঁজ মিলেছে।

গবেষকদের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১ আগস্ট পর্যন্ত চীন, কঙ্গো, মরিশাস, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ডে সি.১.২ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। গত ২৪ আগস্ট প্রিপ্রিন্ট রিপোজিটরি গবফজীরা-এ এই গবেষণা প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়েছে নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট সি.১-এর তুলনায় বেশি শক্তিশালী। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার প্রথম ঢেউয়ের অন্যতম কারণ ছিল এই সি.১ ভ্যারিয়েন্ট।

গবেষকরা বলেছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টটির অনেক বেশি মিউটেশন রয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রাপ্ত ভ্যারিয়েন্টস অব কনসার্ন এবং ভ্যারিয়েন্টস অব ইন্টারেস্ট-এর তুলনায় এটির মিউটেশন অনেকটাই বেশি। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সি.১.২ সংক্রান্ত এখনও পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান মিলেছে, তার থেকেও বেশি ছড়িয়ে থাকতে পারে এই ভ্যারিয়েন্ট। কারণ প্রতিনিয়তই এর বৃদ্ধি ঘটছে।

গবেষণায় দেখা গেছে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতি মাসে সি.১.২ জিনোমের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মে মাসে সিকোয়েন্স করা জিনোমের ০.২ শতাংশ ছিল এটি। জুন মাসে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ১.৬ শতাংশে। তারপর জুলাইয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ২ শতাংশ হয়েছে। গবেষণার লেখকরা বলেছেন, ‘এই বৃদ্ধির হার প্রাথমিক শনাক্তকরণের সময়ে বিটা এবং ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের বৃদ্ধির অনুরূপ।’

কলকাতার সিএসআইআর-ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির ভাইরোলজিস্ট উপাসনা রায় সি.১.২ ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই’র সাথে কথা বলেছেন। তিনি জানান, সি.১.২ ভ্যারিয়েন্ট বেশি সংক্রামক হতে পারে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যেহেতু স্পাইক প্রোটিনে অনেকগুলো মিউটেশন রয়েছে, এর ফলে এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে রক্ষা পেতে পারে। এভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বব্যাপী টিকা অভিযানের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান।



 

Show all comments
  • Ekram Chowdhury ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৪২ এএম says : 0
    এবার যে কি হবে আল্লাহই ভাল জানেন।সবাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Shakil Ahmed ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৪২ এএম says : 0
    স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তো তরুনরাই পড়ে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই কথা, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Mazharul Islam ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৪২ এএম says : 0
    এইসব ভাঁওতাবাজী বাদ দেন,,, সারাবছর আপনাদের খবর থাকে না আর স্কুল কলেজ খোলার আগ দিয়া আপনাদের জেগে উঠে,,,,
    Total Reply(0) Reply
  • Farhana Eyasmin Ratna ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৪৩ এএম says : 0
    নতুন ভ্যারিয়েন্ট খুজে পায় কিন্ত ভ্যাকসিন বানাতে পারেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ ইমরান সোহেব ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৪৩ এএম says : 0
    করোনার বিভিন্ন রুপ বাংলাদেশে এসে মিলেমিশে একাকার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ