Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাতক্ষীরা থানার লকআপ থেকে ডা: জনি নিখোঁজ মামলার তদন্তভার সিআইডিতে

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৩২ পিএম

সাতক্ষীরা সদর থানা লকআপ থেকে শহরের পারকুকরালির হোমিও চিকিৎসক ডাঃ মোখলেছুর রহমান জনি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত অপহরণ, হত্যা ও লাশ গুমের মামলার তদন্তভার পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত শাখায় (সিআইডি) ন্যস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর আগামি ১৪ অক্টোবরের মধ্যে পুলিশের অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগের একজন সহকারি পুলিশ সুপার অথবা তার উর্দ্ধের পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় সাতক্ষীরা সদর থানার সাবেক দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদ শেখ, ফিরোজ হোসেন মোল্লা ও উপপরিদর্শক হিমেলকে আসামী শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ আগষ্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে অসুস্থ বাবার জন্য বাইসাইকেলে ওষুধ কিনতে যেয়ে সাতক্ষীরা শহরের লাবনী সিনেমা হলের সামনে থেকে সদর থানার উপপরিদর্শক হিমেল শহরের পারকুকরালির শেখ আব্দুর রাশেদ এর ছেলে হোমিও চিকিৎসক মোখলেছুর রহমান জনিকে (২৭) ধরে নিয়ে যান।
৫, ৬ ও ৭ আগষ্ট স্ত্রী জেসমনি নাহার রেশমা তার শ্বশুর ও স্বজনদের নিয়ে থানা লক আপে জনিকে খাবার দিয়েছেন, তার সঙ্গে কথা বলেছেন।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক শেখ ও উপপরিদর্শক হিমেলের সঙ্গে কথা বললে জনির জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানানো হয়।

৮ আগষ্ট থানায় গেলে জনিকে আর পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি সেসময় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতা, পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের জানিয়ে কোন লাভ হয়নি। পুলিশ সাধারণ ডায়েরী না নেওয়ায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। অবশেষে ২০১৭ সালের ২ মার্চ হাইকোর্টে রিট পিটিশন (২৮৩৩/১৭) দাখিল করেন নিখোঁজ জনির স্ত্রী জেসমিন নাহার। মামলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়। এক পর্যায়ে উচ্চ আদলতের নির্দেশে গত মাসে সাতক্ষীরা সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জনির বাবা বাদী হয়ে সদর থানার দুই ওসি ও এক দারোগার বিরুদ্ধে মামলা করেন। আজ বুধবার মামলার শুনানী শেষে বিচারক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি কে নির্দেশ দিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিআইডি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ