পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত বছরের ১৯ আগস্ট বিদেশগামী এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়া সিআইডির সেই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আকসাদুদ জামান নামে ওই কর্মকর্তা সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) বিভাগে এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। লুটের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে স¤প্রতি তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ডিবি পরিচয়ে তিনি এক বিদেশগামী যাত্রীর কাছ থেকে পাঁচ হাজার ইউএস ডলার, দুই হাজার দিরহাম ও দুই হাজার টাকা, দুটি মোবাইলসহ কাপড়—চোপড় ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় গ্রেফতারদের মধ্যে একজন চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যও রয়েছেন বলে জানিয়েছে ডিবি।
ঘটনার তদন্তে ধারাবাহিকভাবে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হলেও ধরাছেঁায়ার বাইরে ছিলেন মূলহোতা এসআই আকসাদুদ জামান। প্রায় এক বছর পর গত বুধবার রংপুরের মিঠাপুকুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি ঢাকা উত্তরা বিভাগ।
গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, আকসাদুদ জামানকে আগেই বরখাস্ত করা হয়। ওই ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না। পরবর্তীতে আমাদের তদন্তেই তার নাম বেরিয়ে আসে। তাকে গ্রেফতারে আমাদের আরও কিছু তথ্য দরকার ছিল, এছাড়া এ ঘটনার সব আসামি এখনো গ্রেফতার হয়নি। তিনি বলেন, যেহেতু সে বরখাস্ত হয়ে আছে, শেষ পর্যন্ত সে পালিয়ে রংপুরে চলে যায়। জানি না তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি—না। শেষ পর্যন্ত তাকে রংপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর সকাল পৌনে সাতটায় ভুক্তভোগী বিদেশগামী একজন টিকাটুলির বাসা থেকে সিএনজিযোগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য বের হন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তিনি কাওলা ফুট ওভার ব্রিজের নিচে পেঁৗছলে একটি মাইক্রোবাস সিএনজিটির গতিরোধ করে। এরপর মাইক্রোবাস থেকে দুইজন নেমে ডিবি পরিচয়ে ভুক্তভোগীকে তার লাগেজসহ মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সঙ্গে থাকা পাঁচ হাজার ইউএস ডলার, দুই হাজার দিরহাম, দুই হাজার টাকা, দুটি মোবাইলসহ কাপড়চোপড় ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর স্টাফ কোয়াটার এলাকায় ভুক্তভোগীকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০ অক্টোবর বিমানবন্দর থানায় একটি দস্যুতার মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
ডিবি প্রধান বলেন, মামলাটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মো. মোশারফ হোসেন, মো. সেলিম মোল্লা, মো. রিপন মোড়ল, মো. আমির হোসেন তালুকদার, মো. বিষ্ণু মিয়া সিকদার ও মো. হাসান রাজাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে হাসন রাজাসহ কয়েকজন আদালতে জবানবন্দি দেন। গ্রেফতার আসামিদের পর্যালোচনায় জানা যায়, ডাকাতিতে সিআইডি ডেমরা জোনে কর্মরত (বর্তমানে বরখাস্ত হওয়া) এসআই মো. আকসাদুদ জামান প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তদন্তের একপর্যায়ে আকসাদুদ জামানকে গ্রেফতার করা হয়।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিমানবন্দর জোনাল টিম। সড়কে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে এই চক্রটির সঙ্গে সিআইডির একজন উপ—পরিদর্শক জড়িত। আকসাদুর জামান নামে ওই উপ—পরিদর্শক সিআইডির অফিসিয়াল গাড়ি নিয়ে ডাকাতিতে নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, জড়িত আরও একজন রয়েছেন, যিনি পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতারদের মধ্যে একজন চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যও রয়েছেন। স¤প্রতি এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আমরা সবগুলো বিষয়ই তদন্তে আনছি। এ কে এম হাফিজ আক্তার আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার বরখাস্ত হওয়া এসআই আকসাদুদ জামান ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। তার নেতৃত্বেই ডাকাতি হয়েছিল বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।