পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তিন সন্তানের মা’কে হত্যা করা হয়। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য বাঁশের কঞ্চি দিয়ে একটি চোখ উপড়ে ফেলে খুনীরা। নরসিংদীর রায়পুরায় ধানক্ষেত থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের রহস্য উন্মোচন এবং জড়িত দুইজনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এ মন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে সিআইডি। গৃহবধূ রুনা হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-আবদুর রাজ্জাক খান এবং খোরশেদ মিয়া। গতকাল রোববার সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ মুক্তাধর।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১০ সালে সৌদিপ্রবাসী আবুল কালামের সঙ্গে রুনা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে। সাড়ে তিন বছর আগে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিয়ে দ্বিতীয়বার সৌদি আরব যান আবুল কালাম। সৌদিতে গিয়ে লোনের টাকা পরিশোধ করেননি তিনি। এমনকি রুনা ও তার সন্তানদের খাবারেরও কোনো টাকা দেয়নি। পাওনাদাররা চাপ দিলে রুনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে টাকা পরিশোধ করতে রুনাকে চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে রুনা তার তিন সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায় এবং দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতে থাকেন।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, তাদের গ্রামে আবদুর রাজ্জাক খান নামে এক পোলট্রি ব্যবসায়ী ছিলেন। তাকে রুনা মামা বলে ডাকতেন। একই গ্রামে খোরশেদ মিয়া নামে একজনের নয় মাস আগে স্ত্রী মারা যায়। আবার বিয়ে করবেন বলে আবদুর রাজ্জাককে মেয়ে দেখতে বলেন খোরশেদ মিয়া। এজন্য ৯০ হাজার টাকা দেবেন বলে অঙ্গীকার করেন। আবদুর রাজ্জাক রুনাকে খোরশেদ মিয়াকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু রুনা এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না।
সিআইডির সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মামার বাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন রুনা আক্তার। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত আটটার দিকে পরিবারের সদস্যরা মুঠোফোনে ফোন দিয়েও বন্ধ পায়। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন একটি ধানক্ষেতে রুনার লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এ ঘটনায় গত ১৭ ডিসেম্বর নিহতের বাবা মোসলেহ উদ্দিন বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। কিন্তু কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সেই রহস্য মিলছিল না। এমন অবস্থায় ঘটনাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। হত্যাকা-ের রহস্য জানতে সিআইডি নিহতের পরিবার, ঘটনাস্থল এবং আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। পরবর্তীতে সিআইডির একটি দল নেত্রকোনার কলমাকান্দা থেকে খোরশেদ মিয়া এবং নরসিংদীর রায়পুরা থেকে আবদুর রাজ্জাক খানকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আবদুর রাজ্জাক এবং খোরশেদ মিয়া ধানক্ষেতে নিয়ে রুনা আক্তারকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনা যেন ভিন্নখাতে যায় সেজন্য হত্যার পর বাঁশের কঞ্চি দিয়ে একটি চোখ উপড়ে ফেলে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তার তদন্তও চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।