মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমদ সোমবার স্পষ্ট করে বলেছেন, আফগানিস্তানে বিদেশিদের উচ্ছেদ এবং তালেবানদের দখলের প্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত নতুন করে কোন শরনার্থী পাকিস্তানে আসেনি, কাউকে ‘শরণার্থী মর্যাদা’ দেয়া হয়নি।
একটি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, অতীতের মতেই এখনও প্রতিদিন অনেক লোক চমন সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য প্রবেশ করে এবং ফিরে যায়। সীমান্তে কোন অতিরিক্ত চাপ নেই। তিনি বলেন, সরকারী তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রায় ১ হাজার ৬২৭ জনকে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে পাকিস্তানে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) অভিবাসন প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাছাড়া, ২ হাজার ১৯২ জন ছিলেন যারা এফআইএ অভিবাসন থেকে তোরখাম সীমান্তে ছাড়পত্র পাওয়ার পর স্থানান্তরিত হন।
রশিদ বলেন, বেশিরভাগ পাকিস্তানিকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ পাকিস্তানি এখনও আফগানিস্তানে রয়েছেন। তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতির মতো বিভিন্ন কারণে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত নন। তিনি বলেন, যারা পাকিস্তানে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করছে তাদের জন্য ৩০ আগস্ট শেষ তারিখ নির্ধারণ করেছে সরকার। মন্ত্রী বলেন, সরকার আরও ২১ থেকে ৩০ দিনের জন্য ভিসা দিয়েছে। তবে এখনও প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ মানুষ ভিসা বা অভিবাসনের জন্য আবেদন করেনি। তিনি বলেন, সরকারের প্রতি কোনো হুমকি নেই কারণ তারা দেশের জনগণের সমর্থন থেকে শক্তি অর্জন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর-রেহানকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে এবং পাকিস্তানের জমি অন্যান্য দেশে দেয়ার মতো ভিত্তিহীন বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে আফগানিস্তান ত্যাগকারীদের মানবিক ভিত্তিতে আমাদের সহায়তা প্রদান করি।’ তিনি পিডিএম নেতাদের দ্বারা সৃষ্ট ধারণাটির বিরোধিতা করেছেন যে, আফগানিস্তান থেকে আগত বিদেশীদের জন্য অনেক জায়গা খালি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা পাবলিক প্লেসে নয়, নিজেদের খরচ বহন করে কোনো হোটেলে অবস্থান করছে। পিডিএমের ইসলামাবাদে পদযাত্রার ঘোষণার জবাবে, জিউআই-এফ প্রধান সহ পিডিএম নেতাদের ইসলামাবাদে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে রশিদ বলেন, ‘তাদের আইন এবং সংবিধান অনুযায়ী আচরণ করা হবে, যা তারা সত্যই প্রাপ্য। এটা নতুন পাকিস্তান।’ পিডিএমের জনসমাবেশ সম্পর্কে মন্তব্য করে তিনি বলেন যে, তাদের সমাবেশের সময় এবং স্থান উপযুক্ত ছিল না কারণ তারা বর্তমান পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অজ্ঞ ছিল।
তিনি বলেন, বিরোধী দলের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই, যিনি সৎভাবে এবং দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে জাতির সেবা করছেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে বিরোধীদের কাছে তাদের বোঝানোর কিছু ছিল না এবং তাদের ঐতিহাসিক পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তিনি বিরোধী নেতাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, পরবর্তী নির্বাচনের আগে এখনও দুই বছর বাকি আছে এবং এই দুই বছরে জাতীয় জবাবদিহিতা ব্যুরো (এনএবি) মামলার অনেক সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত আছে। সূত্র: ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।