বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গণধর্ষণসহ ১৫ মামলার আসামি শাহআলম হাওলাদার ওরফে জোংলা শাহআলমকে পুলিশ রবিবার রাতে ১১ টার দিকে কুয়াকাটার খাজুরা জঙ্গল থেকে মহিপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জলদস্যুতা, হাইজ্যাক, গবাদিপশু লুট, চুরি, ট্রলারে হামলা, গাছ কাটা, চাঁদাবাজি, গণধর্ষণসহ এমনতর এন্তার গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত শাহআলম হাওলাদারের নামও বদলে গেছে। এখন জোংলা (বনে থাকে) শাহআলম না বললে কেউ চেনে না। এর আগে শাহআলমকে ধরতে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয় পুলিশ। আটককৃত জংলা শাহআলম উপজেলার লতাচাপলী ইউপির পশ্চিম খাজুরা গ্রামের মৃত লেহাজ উদ্দিনের ছেলে। জোংলা শাহআলম গ্রেফতারের খবরে এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে।
কুয়াকাটা সৈকতের পশ্চিমে শেষপ্রন্ত লেম্বুরচর, খাজুরা এলাকার মানুষের কাছে জোংলা শাহআলম এখন এক আতঙ্কের নাম। ওখানকার জেলে, শুটকি ব্যবসায়ী, ফ্রাই মাছ ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষের কাছে নামটি মুর্তিমান আতঙ্ক। অন্তত ৪২ বছর বেড়িবাঁধের বাইরে খাজুরা ম্যানগ্রোভ প্রজাতির বনের (জঙ্গল) মধ্যে বসবাস তার। মানুষের গরু চুরি করে জবাই করে চামড়া খুলে মাংস বিক্রি করা। ট্রলার লুট করে ইঞ্জিন খুলে বিক্রি করা। মাছ লুট করা। হামলা করে কাকড়া-মাছ বিক্রি করা দোকানে। বছরের পর বছর এসব করে যাচ্ছে। এচক্রে নিজের ছেলেসহ রয়েছে আরও ২০-২২ সদস্য। এখন জোংলা শাহআলমের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে নারীরা এমনকি স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীরা পর্যন্ত চলাচলে ভয় পায়।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ধর্ষণ, ডাকাতি, গরুচুরিসহ অন্তত ১৫ টি মামলা রয়েছে শাহআলমের বিরুদ্ধে। মূলত এ অভিযুক্ত ব্যক্তি জঙ্গলেই লুকিয়ে বসবাস করতো। গতকাল রাতে জঙ্গলের মধ্যে থেকেই শাহআলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।