মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে দিচ্ছে ফেস মাস্ক! ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অফ মেক্সিকোর (ইউএনএএম) গবেষকরা এমনটাই দাবি করেছেন। তারা জানিয়েছেন, রূপা এবং তামা ব্যবহার করে একটি বিশেষ ধরনের মাস্ক তৈরি করেছেন। যা সার্স-কোভ-২কে নিউট্রালাইজ করবে।
জানা গেছে, ফেস মাস্কে রূপা এবং তামা ব্যবহার করে একটি ন্যানোলেয়ার তৈরি করা হয়েছে। যা কোভিডকে নিষ্ক্রিয় করে দেবে। গত ২৬ আগস্ট ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল গেজেটে এমনটি দাবি করা হয়েছে। অ্যান্টি ব্যাকটোরিয়াল মাস্কটি ত্রিস্তরীয়। ইউএনএএম সেটির নাম দিয়েছে সাকসু। মায়ান ভাষার শব্দ ‘সাক’ এর অর্থ রূপা। আর ‘সু’ তামার কেমিক্যাল সঙ্কেত।
মাস্কের কার্যকারিতা কতটা তা পরীক্ষা করার জন্য কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের ড্রপলেট সংগ্রহ করা হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ওই ড্রপ মাস্কের সিলভার কপার ফিল্মের উপর রাখা হয়েছিল। ইউএনএএম জানিয়েছে, যদি ভাইরাল কনসেনট্রেশন বেশি হয়, তাহলে আট ঘণ্টার মধ্যে ভাইরাস উধাও হয়ে যাওয়ার ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি ভাইরাল কনসেনট্রেশন কম হয়, তাহলে দুই ঘণ্টার মধ্যেই উধাও হয়ে যাবে করোনা।
উল্লেখ্য, অতিমারী পরিস্থিতি ওই মাস্ক যে সাধারণ মানুষের কাজে আসবে তা বলা বাহুল্য। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কি মাস্কটি ধোয়া যাবে? ইউএনএএম-এর উত্তর ‘অবশ্যই’। জানানো হয়েছে, মোট ১০ বার ধোয়া যাবে ওই মাস্কটি। বর্তমানে ইউনিভার্সিটির তরফ থেকে দিনে ২০০টি করে সাকসু তৈরি করা সম্ভব বলেও দাবি করা হয়েছে। যদিও তার কত দাম হবে, সে প্রসঙ্গে কোনও ধারণা দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, হালে নানা ধরনের মাস্ক কিনছেন অনেকেই। এ নিয়ে নানা ধরনের গবেষণাও চলছে। কিছুদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়াররা দাবি করেছিলেন যে তারা এক অনন্য ফেস মাস্ক বানিয়ে ফেলেছিলেন। যা পরলেই বোঝা যাবে রোগী করোনা আক্রান্ত কিনা। ওই মাস্কের নাম দেওয়া হয়েছিল নভেল ফেস মাস্ক। গবেষকরা জানিয়েছিলেন, মাস্ক পরার ৯০ মিনিটের মধ্যেই কোভিড পজিটিভ না নেগেটিভ তা জানা যাবে।
আসলে পেন্ডামিক শুরুর পরে প্রথম সমস্যা ছিল করোনা পরীক্ষা করানো নিয়ে। যাতে খুব দ্রুত করোনা পরীক্ষা করা যায়। তাই ওই আবিষ্কারের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বিশ্ব। তাই করোনাকে রোখার চেষ্টা চালাচ্ছেন গবেষকরা। সূত্র : রয়টার্স, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।