Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদীর ইলিশের অভয়াশ্রম দূষণের কবলে

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম

কলাপাড়ায় ময়লা-আবর্জনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ইলিশের অভয়াশ্রম আন্ধারমানিক নদীটি । শহরের বাজারগুলো ও বাসাবাড়ির সকল প্রকারের আবর্জনা এ আন্ধারমানিক নদীতে ফেলা হয় প্রতিনিয়ত। প্রতিদিনের এ আবর্জনা নদীতে মিশে আন্ধারমানিক নদীর পানি হচ্ছে দূষিত। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মাছের বিচরণ। পারিবারিক, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও পৌরসভার আবর্জনা শহরের প্রতিদিনের ময়লা নদী ও খালে ফেলা হচ্ছে। যেগুলো সুইসগেট দিয়ে ভাঁটার সময় আন্ধারমানিক নদীতে ভাসছে। অবৈধ পলিথিন থেকে শুরু করে যে কোন বর্জ্য এ আন্ধারমানিক নদীতে ফেলে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। পৌরসভায় বাসবাসকারী মানুষের অসচেতনতা ও পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এজন্য সমভাবে দায়ী। পৌরবাসী তাঁদের পারিবারিক বর্জ্য কখনো পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের মধ্যে কখনো আবার রাস্তার পাশে ফেলছে। অন্যদিকে পৌরসভার কর্মচারীরা রাস্তায় পড়ে থাকা সকল বর্জ্য কুড়িয়ে ফেলছে শহরের ভিতরে থাকা খালগুলোতে। পরবর্তীতে যা ভেসে আন্ধারমানিক নদীর পানিতে মিশে যাচ্ছে। এ বর্জ্য দূষনে আন্ধারমানিক নদীর ইলিশের অভয়াশ্রমটি ক্ষতির সম্মূক্ষিন।

পৌরসভা তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের জনসংখ্য ও গৃহগণনা-২০১১ অনুসারে কলাপাড়া পৌরসভার পরিবার সংখ্যা চার হাজার ৩৪৭ ও লোকসংখ্যা ১৭ হাজার ৩৩২ জন। যা তিনগুনের বেশি। এক্ষেত্রে পরিবার প্রতি আধা কেজি বর্জ্য হলে দৈনিক কমপক্ষে আড়াই টন বর্জ্য হয়, যা মাসে ৭৫ টন। এর আগে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কিছুদিন নাচনাপাড়া এলাকায় ফেলেছিলো কিন্তু এখন তা ফেলছেনা।

এবিষয়ে ইকোফিশ-২ (ওয়ার্ল্ডফিশ) প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি এ প্রতিনিধিকে বলেন, এ থেকে উত্তরনের জন্য সঠিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা উচিৎ। এক্ষেত্রে বর্জ্য রিডিউস, রিসাইকেল এবং রিইউস করতে হবে। এ দূষণের প্রভাবে আন্ধারমানিক মোহনায় চর জেগেছে, ইলিশের আনাগোনাও কমেছে।

কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো: হুমায়ুন কবির গনমাধ্যমকে বলেন, পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যথাযথ পরিকল্পনা রয়েছে এবং একটি জায়গা ডাম্পিং স্টেশনের জন্য কেনা হয়েছে। ওই জায়গায় বর্তমানে রাস্তা নেই, রাস্তার কাজ চলছে, যা সম্পন্ন হয়ে গেলে ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিয়ে আর কোন সমস্য হবেনা। তবে পৌর শহরের সকল মানুষকে আরো বেশী সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দূষণ

২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
৪ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ