মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবার করোনায় সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের রেকর্ড করলো অস্ট্রেলিয়া। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১১৫ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর এ পর্যন্ত এটি অস্ট্রেলিয়ায় সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি নতুন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনিতে- ১ হাজার ২৯ জন। বাকি ৮৮ জন শনাক্ত হয়েছেন দেশটির অন্যান্য অঞ্চলে। -এএফপি
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল শহরের নাম সিডনি। দেশটিতে বসবাসকারী ২ কোটি ৫৮ লাখ ৩৯ হাজার মানুষের এক পঞ্চমাংশই থাকেন সিডনিতে। করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে গত জুন মাস থেকেই সিডনিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ জানিয়েছে, গত তিন মাসে সিডনিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। সংক্রমণ প্রতিরোধে গত জুলাই থেকে লকডাউন ও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে সিডনিতে। পড়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অন্য অঞ্চলের লোকজনও। দেশটিতে এই মুহূর্তে ২ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ লকডাউনের আওতায় রয়েছে।
এদিকে রেকর্ড পরিমাণ করোনা রোগী শনাক্তের দিনই নিউ সাউথ ওয়েলসের মুখ্যমন্ত্রী গ্ল্যাডিস বেরেজিকলিয়া রাজ্যে বিধিনিষেধ খানিকটা শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় তিনি জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। গ্ল্যাডিস বেরেজিকলিয়ার সে সময় থেকে টিকার ডোজ নেওয়া সর্বোচ্চ পাঁচজন ঘরের বাইরে একত্র হতে পারবেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রায় ৮০ লাখ বাসিন্দাকে এর মধ্যেই ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
মহামারি মোকাবিলায় এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের হালনাগাদ সংখ্যা প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, মহমারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪৭ হাজার ৮৪০ জন এবং মারা গেছেন মোট ৯৮৯ জন। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সফল হলেও টিকাদানে পিছিয়ে আছে দেশটি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশকে টিকার আওতায় আনা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।