বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সমস্ত শক্তি দিয়ে মাঠে নেমেছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। নিজ দল ক্ষমতায়, প্রশাসনের সাথে সখ্যতা, তৃণমূলে সংগঠনের শক্তিশালী ভিত্তি। সেই সাথে সংগঠনের কেন্দ্রিয় বাঘা বাঘা নেতারা নেমেছেন হাবিবের পক্ষে মাঠে। একদম অনুকূল পরিবেশ পরিস্থিতি তার সম্মুখে। কেবল দুর্বলতা নির্বাচনী মাঠে একেবারে নতুন মুখ তিনি। তারপরও জয়ের স্বপ্নে বিভোর তরুণ, উদ্যমী হাবিব। যেকোন মূল্যে জয় নিশ্চিত করাই হাবিবের লক্ষ্য। অপরদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক নির্বাচনী মাঠে অভিজ্ঞ। ৯১ সাল থেকে নির্বাচন করছেন তিনি। কিন্তু এখনো দেখা মিলেনি তার জয়রত। তবে এবার মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আতিক। একাই দৌড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকায়। শেষ বেলায় জয়ের সাধে, মুছতে চান অতীতের পরাজয়ের গ্লানি। যদিও তৃণমূলে তার সংগঠনের ভিত্তি নড়বড়ে। তবে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে রয়েছেন তার সমর্থন।
এই আসনে নৌকার ভিত্তি ছিল না তেমন শক্তিশালী। সর্বপ্রথম নৌকার জয় মিলে ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে। সেই নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরীকে পরাজিত করেন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েছে এমপি। যদি ইতিপূর্বে একবার স্বতন্ত্র ও ২ বার নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে পরাজয় বরণ করেছিলেন তিনি। ভোট রাজনীতিতে বার বার পরাজয়ের পরও দমে যাননি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। লব্ধ অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে বিজয়ের মাধ্যমে সফলতা হয়েছিলেন তিনি। একই ভাবে পরাজয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার নির্বাচনের মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন জাপা প্রার্থী আতিক। আ’লীগের তরুণ প্রার্থী হাবিবের সাথে কতখানি পাল্লা দিতে পারবেন, সেই প্রশ্ন এখন ভোটারদের মধ্যে। যদিও বিভিন্ন কৌশলে কাজ করছেন নির্বাচনী মাঠে। নির্বাচনে না আসা বিএনপি-জামাত সহ সমমনা দল সমূহের নিরব ভোট তার পক্ষে নেয়ার জন্য কোন চেষ্টাই অবশিষ্ট রাখছেন না তিনি। এদিকে, বসে নেই হাবিবও। তার পক্ষে জোর কদমে মাঠে নেমেছেন কেন্দ্রিয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্র থেকে সিলেটে শোকসভায় এসে নির্বাচনী সমাবেশেও অংশ নিচ্ছেন নেতারা।
সর্বশেষ গত দু’দিন সিলেট-৩ আসন সফর করে গেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব- উল আলম হানিফ। ৩/৪ দিনের মধ্যে সিলেট সফরের কথা রয়েছে প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকেরও। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, সিলেটের এই উপনির্বাচনে ভোটে জয় চায় আওয়ামী লীগ। এ কারণে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করা হয়েছে। কিছু কিছু সমস্যা ছিল গুছিয়ে আনা হয়েছে সেগুলোও। এখন এ আসনে নৌকার পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতারা ঐক্যবদ্ধ। তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতারা নৌকার পক্ষে মাঠে কাজ করার কারণে ভোটের আগেই ফলাফলের অবস্থান পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে নৌকার।
এদিকে, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাংবাদিক শাহ মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন- ‘এ আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিযোগিতা আছে, কিন্তু কোনো বিরোধিতা নেই। সেকারনে দলে একাট্টা এখন। সময়ের ব্যাপার কেবল হাবিবের বিজয় ঘোষণার। স্থানীয় একাধিক ভোটার বলেন, ভোটাররা শঙ্কিত, নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে। প্রশাসনিক কারিশমা কোন দিকে গড়ায় তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেকারনে ভোটারদের মধ্যে ভোট নিয়ে গরজ নেই। তারা এও বলেন, ভোটের প্রতি আগ্রহ এখনো বাড়েনি ভোটারদের। কারণ প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের মধ্যে কেউ রয়েছেন ভোটে জনগণ না গেলে খুশি, কেউ রয়েছেন ভোটে সাধারণ জনগণ গেলে গণেশ পাল্টে যাবে। কঠিন এক হিসেব নিকেশ চলছে মূলত ভোটেরদিন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।