Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যশোরের ভবদহ আবার জলাবদ্ধতায় ১০ লাখ মানুষ

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১:৩৩ পিএম

যশোরের দু:খ ভবদহ। প্রায় ৪০ বছর ধরে লাখো মানুষ পানির সাথে বসবাস করছেন। আবারও ২শ গ্রামের ১০ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হতে চলেছেন। ফসলের জমি, বসতভিটা-সবই কেড়ে নিয়েছে পানি। সরকার বারবার প্রকল্প নেই, কিন্তু জলাবদ্ধ মানুষের কোন উপকার হয়না।
যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। এলাকার ৫২টি বিলের পানি ওঠানামা করে মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদী দিয়ে। পলি পড়ে নদীগুলো নাব্যতা হারিয়েছে। ফলে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে না। এই অবস্থায় বৃষ্টির পানিতে এলাকার বিলগুলো প্লাবিত হয়েছে। বিল উপচিয়ে পানি ঢুকেছে বিলসংলগ্ন গ্রামগুলোতে। ইতিমধ্যে অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলার ২শ গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলার হাটগাছা গ্রামের শংকর মন্ডল জানান, পানির কারণে তার জমিতে চাষাবাদের সুযোগ পাননা। সাজানো গোছানো ঘর-গেরস্থালী ছিল সবই এখন পানির নিচে। খুব কষ্টে আছি।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড, যশোরের কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন,‘এই মুহূর্তে পানি সরানোর জন্য পাম্পসেট (সেচযন্ত্র) দিয়ে পানি সেচে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সাড়ে নয় কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দের পর এর কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ ছাড়া, ভবদহ ও তৎসংলগ্ন এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন ও টেকসই পানি ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য প্রায় ৮০৮ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাশের অপেক্ষায় রয়েছে।’

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, 'খনন করে নদী বাঁচানো যায় না। প্রবাহ নিশ্চিত করেই কেবল নদী বাঁচানো সম্ভব। ৫ বছর ধরে কেবল নদী খনন করা হচ্ছে। এতে নদীর অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। আর সেচযন্ত্র দিয়ে পানি সেচে ভবদহের জলাবদ্ধতা দূরিকরণ অবাস্তব এবং হাস্যকর। ভবদহ অঞ্চলকে বিরান হওয়া থেকে রক্ষা করতে হলে টিআরএম বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা না করে বড় বড় প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, নদী খননের নামে অর্থ লুটপাটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জনগণের দাবি মেনে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ না করলে এই এলাকা জলাবদ্ধতামুক্ত এবং বিরান হওয়া থেকে রক্ষা পাবে না।'



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জলাবদ্ধতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ