Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্ক ৭৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দিয়েছে

চীনে সংক্রমণশূন্য একটি দিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনা মহামারি মোকাবেলায় বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছে তুরস্ক। দেশটি তার প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ৭৪ দশমিক ০১ শতাংশকে টিকা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে। রোববার তুরস্কের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানা যায়।

এদিকে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে নতুন করে করোনার সংক্রমণ ছড়ায় চীনে। তারপর থেকে প্রথমবারের মতো স্থানীয়ভাবে করোনার সংক্রমণশূন্য একটি দিন দেখল দেশটি। গতকাল চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য জানায়।

তুরস্কে চলতি বছরের জানুয়ারিতে টিকা কর্মসূচি শুরু হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৮৬ লাখের বেশি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৫৯ লাখ মানুষ টিকা পেয়েছে। এদের মধ্যে ৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ টিকার পূর্ণ ডোজ পেয়েছে। এছাড়া ৭৬ লাখ মানুষকে তৃতীয় তথা বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ৭৪ দশমিক ০১ শতাংশ করোনার অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন। গতকাল থেকে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব সব নাগরিকদের টিকার আওতায় আনার কর্মসূচি শুরু করেছে তুরস্ক। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদেরও টিকা দেয়া হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে আরও ১৮ হাজার ৬২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সময় মারা গেছেন ২০৬ জন।

এদিকে, চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে স্থানীয়ভাবে কেউ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়নি। ফলে, চীনে গত জুলাইয়ে নতুন করে করোনার যে সংক্রমণ শুরু হয়েছিল, তা নিয়ন্ত্রণে আসার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গত ২০ জুলাই চীনের পূর্বাঞ্চলের নানজিং শহরের বিমানবন্দরের কিছু কর্মীর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। সেখান থেকে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এ দফায় চীনে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়।

চীনে নতুন করে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন এলাকায় জারি করা হয় লকডউনসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ। করোনার বিস্তার ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গণহারে লাখ লাখ মানুষের পরীক্ষা করা হয়। সংক্রমিত ব্যক্তিদের শনাক্তের পর তাদের পৃথক করে চিকিৎসা করা হয়। তবে চীনে এই দফার সংক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। গত সপ্তাহ থেকেই চীনে স্থানীয়ভাবে করোনার সংক্রমণের হার এক অঙ্কে নেমে আসে। তবে সাংহাইয়ের একটি বিমানবন্দরের কিছু কর্মীর শরীরে সম্প্রতি করোনা শনাক্ত হয়। এতে শহরটিতে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়। এ আশঙ্কা থেকে শত শত মানুষকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ