পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের বেতসুন্দি (ফকিরেরগাঁও) গ্রামের মসজিদের মোতাওয়াল্লী নিজাম উদ্দিন (৬৫) কে তার বাড়ি থেকে অপহরণ চেষ্টা করা হয়। এর পর তথ্য প্রমাণসহ (সিসিটিভির ফুটেজ) নিজাম উদ্দিন বাদি হয়ে গত ১ মার্চ সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৩য় আদালতে ১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিলেট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইকে) দায়িত্ব দেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা (পিবিআই) এসআই শাহ ফজলে আজিম পাটোয়ারী দীর্ঘ ৬ মাস তদন্ত শেষে দুই পুলিশ কনস্টেবল, এক সাংবাদিক ও অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী একাধিক মামলার আসামি বেতসুন্দি (ফকিরেরগাঁও) গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর পুত্র আব্দুস শহীদকে আসামি করে গত ১১ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
অপহরণের সাথে জড়িত থাকা এ দুই পুলিশ কনস্টেবল হলেন, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার ব্রম্মণহাতা গ্রামের হেফজুল বারীর ছেলে কনস্টেবল বিপি-৮৪০৩০৯২৯৫৭ শরীফ রানা (৩৭), ও সুনামগঞ্জ জেলার বিশ^ম্ভরপুর থানার কাছিরগাতি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে কনস্টেবল বিপি-৯০১১১২৬৩৫৬ সিরাজুল ইসলাম (৩০)। তার মধ্যে কনস্টেবল শরীফ রানা ২০১৫ সালে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি ছিনতাই মামলার আসামি ছিলেন। এ মামলায় তিনি পুলিশ থেকে বরখাস্ত আছেন। মামলায় একমাত্র আসামি কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারি নিজামুল হক লিটন আত্মহত্যা করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় বছর খানেক ধরে শাহ আব্দুর রহীম (র.) মাজারের দান বাক্সের টাকা আত্মসাৎ করা নিয়ে আব্দুস শহীদ গংদের সাথে মাজার কমিটির সাবেক সাধা: সম্পা: নিজাম উদ্দিনসহ মাজার কমিটির দেয়া মামলা মোকদ্দমা চলছে। এক পর্যায়ে নিজাম উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গত২৫ ফেব্রুয়ারী ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি নোহা গাড়ি দিয়ে অপহরণ করার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় নিজাম উদ্দিন বাদি হয়ে আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।