Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক!

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২১, ৩:২২ পিএম

কুষ্টিয়ায় বাড়তে শুরু করেছে পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি, সেই সাথে বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। এদিকে পানি বাড়ার কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায়। এরই মধ্যেই বেশ কিছু কৃষি জমি ও বসতবাড়ী বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদীর তীরবর্তী ভাঙন কবলিত মানুষের। নদী ভাঙনে ভিটামাটি হারা পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান জানান, তালবাড়ীয়া মোবারক বাঁধের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ কিলোমিটার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। নদীর অব্যাহত ভাঙনে এই ইউনিয়নের প্রায় কয়েকশ পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাড়ি জমিয়েছেন। ক্রমাগত ভাঙনে প্রায় কয়েক হাজার একর ফসলি জমি, ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৬টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে।

তিনি জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর বছর নদী ভাঙনের তীব্রতা অনেক বেশি, প্রতিদিনই ফসলি জমিসহ বসতবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে তীরবর্তী এলাকা ভেঙে ইউনিয়নের মূল ভূখন্ডের আয়তন ক্রমেই কমছে।

এবিষয়ে মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন বলেন, অতিদ্রুত ভাঙনরোধ না করা গেলে হুমকির মুখে পরতে পারে উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের এক মাত্র কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কটি। নদীর পানিতে প্লাবিত হতে পারে কুষ্টিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার অধিকাংশ অঞ্চল।

তিনি জানান, গত দুই বছর আগে ৯শ কোটি টাকার একটি (ডিপিডি) প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে ওই তালবাড়ীয়া ইউনিয়নসহ কুষ্টিয়া জেলা এবং আশপাশের কয়েকটি জেলা। এছাড়াও রক্ষা উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের এক মাত্র কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কটি।

ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হেমিক জানান, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে দেশের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। পদ্মা ও গড়াই নদীতে পানি বাড়ার কারণে মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় দ্রুতই জিও ব্যাগের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুষ্টিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ