পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের প্রায় ১৫ দিন আগে বেইজিংয়ে তালেবান প্রতিনিধিদল নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন এবং তালেবান কাবুল দখলের মাত্র একদিন পরেই চীন বলেছিল যে, তারা আফগানিস্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গভীর করতে প্রস্তুত। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তালেবান, যারা বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছে, তারা আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও উন্নয়নে চীনের অংশগ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা এটিকে স্বাগত জানাই।’
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো নতুন আফগান শাসনের অধীনে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় তামাক্ষেত্র আয়ানক তামা খনি প্রকল্প থেকে এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফারিয়াব এবং সার-ই-পুলের তেলক্ষেত্র পর্যন্ত প্রধান অর্থনৈতিক প্রকল্প চালানোর সম্ভাবনাগুলোকে বড় করে দেখছে। বেইজিং-সমর্থিত সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই খনি এবং নির্মাণাধিকারের জন্য শত শত মিলিয়ন ডলার করেছে। কিন্তু আফগানিস্তানের চরম নিরাপত্তাহীনতা বেশিরভাগ পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করেছে।
এদিকে, আফগানিস্তানে পর্যাপ্ত লিথিয়াম মজুদের কারণে দেশটিকে ‘লিথিয়ামের সউদী আরব’ নামে অভিহিত করা হচ্ছে এবং চীন বিশ্বের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রস্তুতকারক যাদের আফগানিস্তানের এই খনিজের প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যদিও আফগানিস্তানে মার্কিন যুগের নাটকীয় পতনের পর চীন সর্বাধিক সুবিধা লাভের অবস্থানে থাকলেও দেশটি এখন কাবুলে কট্টরপন্থীদের উপর নজর রাখবে, বিশেষত চীনের পূর্ব শিনজিয়াং প্রদেশের আফগানিস্তান সীমান্তে, যেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উইঘুর বাস করে।
চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যম আফগানিস্তানে মার্কিন ব্যর্থতার সূচক হিসেবে তালেবানের বিজয়কে চিহ্নিত করে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার তাড়াহুড়া করে প্রস্থান তাইওয়ানসহ সব মার্কিন মিত্রদের প্রতি তার সুবিধাবাদী মনোভাবকে প্রতিফলিত করে, যারা বেইজিংকে প্রতিহত করার জন্য ওয়াশিংটনের নিরাপত্তা গ্যারান্টি থেকে শক্তি সঞ্চয় করতে চায়।’ মঙ্গলবার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন আফগানিস্তানে অশান্তি, বিভাজন এবং ভেঙে যাওয়া পরিবারগুলোরসহ ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা রেখে গেছে। আমেরিকার শক্তি এবং ভ‚মিকা নির্মাণ নয়; ধ্বংস।’ সূত্র: ২৪ম্যাটিন্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।