বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল সদর ইউএনও’র বাসা থেকে প্রতিপক্ষের ব্যানার খুলতে গিয়ে বুধবার রাতে পুলিশ ও আনসারের সাথে সংঘর্ষে কোতোয়ালী থানার ওসি ও বিসিসি’র প্যানেল মেয়র সহ অন্তত ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ইউএনও’র বাসভবনের সামনে পুলিশ ও অনসার দুদফা গুলিবর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। রাতেই ইউএনও’র বসভবনের সামনের বরিশাল-ঢাকা ও বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠেনের নেতা-কর্মীরা। সকাল থেকে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সকাল ৮টার পরে নৌযোগাযোগও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মহানগরী থেকে বাইরে কোন যানবাহনই বের হতে বা প্রবেস করতে দিচ্ছেনা দলীয় নেতা-কর্মীরা। ফলে বিমান বন্দরের যাতায়াতকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।
বিগত কিছুদিন ধরেই বরিশাল সদর আসনের এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল(অবঃ) জাহিদ ফারুখ শামিমের সাথে মেয়র সাদেক আবদুল্লাহর মনান্তর অনেকটা প্রকাশ্যে চলে আসে। নগরীতে মেয়র ও এমপি’র ভিন্ন ভিন্ন ব্যানার টানান ও তা খোলার একটি প্রবনতাও চলছিল। ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নগরীতে উভয় গ্রুপই ব্যানার ও প্লাকার্ড লাগায়।
বুধবার রাতে যুব লীগের কিছু নেতা-কর্মী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এমপি জাহিদ ফারুকের ব্যানার খোলার কাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা নগরীর সিএন্ডবি রোডে সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে-এর অভ্যন্তরে ইউএনও’র বাসভবনের সামনের ব্যনারও খুলতে যায়। এসময় ইউএনও এবং নিররপত্তা রক্ষী আনসার সদস্যরা এলাকাটি সংরক্ষিত বিধায় দিনের বেলায় তা খোলার অনুরোধ করলে কিছু নেতা কর্মী তার বাসভবনে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। এসময় ইউএনও মুনিবুর রহমানকে অকথ্য ভষায় গালিগালাজও করেন নেতা-কর্মীরা। এ অভিযোগ ইউএনও’র। নিরপত্তা কর্মীরা তাদেরকে বাস ভবনে ঢুকতে বাধা দিলে তা অমান্য করে আনসার সদস্যদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে আনসার সদস্যরা গুলিবর্ষন করে।
ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছে যায় কোতয়ালী থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ। তারাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্র্ষে সিটি করপোরেশনের দু নম্বর প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম খোকন ছাড়াও ওসি ইনেসপেক্টর নুরুল ইসলাম সহ অন্তত ৩৫জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত অন্যদের মধ্যে প্রায় ২০জনকে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই পুলিশ সদস্যকে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও মিনি বাস টার্মিনাল থেকে সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল - ফরিদপুর - ঢাকা এবং বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা ও বরিশাল -পিরোজপুর -খুলনা মহাসড়কেও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সকাল ৮টার পরে বরিশঅল নৌ বন্দর থেকে অভ্যন্তরীন ও রাঞ্চলিক সব রুটের নৌযান চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মহানগরীর পরিস্থিতি থমথমে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন ও পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।